নাবালিকার ধর্ষণ-খুনের অভিযোগে তাকে পাঁচদিন ধরে খুঁজছিল পুলিশ। হায়দরাবাদের সেই যুবকের মৃতদেহ রহস্য বাড়িয়ে উদ্ধার হল রেললাইনের উপর। তেলেঙ্গানার জনগাঁও জেলায় সেই দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পাল্লাকোন্ডা রাজু নামে ওই অভিযুক্ত পাঁচ দিন ধরে পলাতক ছিল। তাকে এনকাউন্টার করার হুমকি দিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মাল্লা রেড্ডি। তার পরেই তার দেহ উদ্ধার রহস্য দানা বেঁধেছে।
জানা গিয়েছে, পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃত্যুর কারণ তখনই ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে। পাঁচ দিন আগে প্রতিবেশীরা এক ছয় বছরের শিশুর দেহ বেডশিটে মোড়ানো অবস্থায় পেয়েছিলেন তার ঘরে। এরপরই তাঁর খোঁজ শুরু হয়। পুলিশ তাঁর সন্ধান দিতে পারলে ১০ লক্ষ টাকার ইনাম ঘোষণা করে। বিরোধীরা এই ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে সরব হয়।
বিরোধীকা শোরগোল ফেলতেই আসরে নেমে বিতর্কিত বয়ান দেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মাল্লা রেড্ডি। হুঁশিয়ারি দেন, অভিযুক্তকে এনকাউন্টার করা হবে। এরপরই এদিন সকালে ঘানপুর স্টেশনের কাছে রেললাইনের উপর রাজুর দেহ উদ্ধার হয়। রেললাইনে কর্মরত কয়েকজন কর্মীর দাবি, ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন রাজু। তাঁর শরীরে ট্যাটু থেকে রাজুকে শনাক্ত করে পুলিশ।
আরও পড়ুন শিশু আশ্রমে অব্যবস্থা-বিধিভঙ্গ! প্রাক্তন IAS হর্ষ মন্দারের বাড়ি-অফিসে ইডি হানা
এদিকে, দেহ উদ্ধারের খবর চাউর হতেই রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী কেটি রামা রাও টুইট করে জানান," তেলেঙ্গানার ডিজিপির কাছ থেকে নিশ্চিত খবর মিলেছে, অভিযুক্ত ধর্ষক রেললাইনের উপর মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে।"
গত মঙ্গলবারই শ্রমমন্ত্রী মাল্লা রেড্ডি সাংবাদিকদের সামনে বলেন, "অভিযুক্তর বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই। ওঁকে এনকাউন্টার করে মারা উচিত।" তার দুদিন পরই অভিযুক্তের দেহ উদ্ধার হল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন