দিব্যি সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশেই দিনের পর দিন ধরে টেক-সিটেতে লুকিয়েছিল সন্দেহভাজন হিজবুলের চাঁই। নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্ততে এই খবর পেয়েই অতর্কিতে হানা। জম্মু কাশ্মীর পুলিশ ও বেঙ্গালুরু সিটি পুলিশের যৌথ অভিযানে জালে সন্দেহভাজন হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার তালিব হুসেন। উপত্যকায় একের পর এক হিন্দু নাগরিককে খুনে যোগ রয়েছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনের সন্দেহভাজন কমান্ডার তালিবের, এমনই দাবি পুলিশের।
কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ স্থানীয় কামান্ডার তালিব হুসেন। কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে গত কয়েক মাসে হিন্দুদের উপর আক্রমণ মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়ে গিয়েছে। ভূস্বর্গে সংখ্যালঘুদের খুনে যোগ রয়েছে ধৃত জঙ্গি তালিবের, এমনই দাবি পুলিশের।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ধৃত তালিব হুসেন বেঙ্গালুরুতেই থাকত। তবে করোনাকালে লকডাউন ঘোষণার পরেই সে কাশ্মীরে চলে যায়। তবে পরবর্তী সময়ে সে আবার বেঙ্গালুরুতেই ফিরে আসে। তার পরিবার ওকালীপুরমে থাকে। বেঙ্গালুরু সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, "চাকরি হারানোর পরে হুসেনকে স্থানীয় একটি মসজিদে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। যেখানে সে তাঁর স্ত্রী এবং তিন সন্তানের সঙ্গে থাকতেন।"
আরও পড়ুন- মন্ত্রীর বাড়িতে টাকার ‘পাহাড়’, মিলল একশোরও বেশি সোনার কয়েন, চোখ কপালে ওঠার জোগাড়!
এদিকে, খোদ রাজধানী থেকে সন্দেহভাজন হিজবুল কমান্ডার ধরা পড়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে রাজ্য সরকারও। মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই বলেন, ''রাজ্য সরকার জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশকে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা করবে। সন্দেহভাজনদের গতিবিধির ওপর নিরাপত্তা বাহিনী নজর রাখছে। এটি তাদের জন্য একটি নিয়মিত অনুশীলন। এর আগেও ভাটকল, সিরসি বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার হয়েছে।''
আরও পড়ুন- রাজ্যসভার ভোট: ‘সমর্থন চাই?’ শিবসেনাকে কাছে ডাকছে মিম
কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জ্ঞানেন্দ্র বলেছেন, ''রাজ্য পুলিশ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ তদন্তের গতি আরও বাড়াচ্ছে। কারা এই সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে, সেব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বেঙ্গালুরুতে সিম কার্ড পেতে নথি দেওয়ার ব্যাপারে কারা সাহায্য করল, পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।''