Syria Civil War Updates: সিরিয়ার বিদ্রোহীদের দখলে চারটি বড় শহর। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শক্তিশালী দুর্গ দামেস্কও ভেঙে পড়ার পথে। ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সিরিয়া ছেড়ে অজানা স্থানে পালিয়ে যাওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। তাঁর পরিবার ইতিমধ্যে সিরিয়া ছেড়ে রাশিয়ায় চলে গেছে বলে খবর ।
গত ১৩ বছর ধরে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত সিরিয়া। সাম্প্রতি বিদ্রোহী শিবির যে গতিতে সিরিয়া দখল করেছে তাতে হতবাক গোটা বিশ্ব। গত ২৪ ঘণ্টায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী সিরিয়ার প্রধান শহর হোমস দখল করেছে এবং হোমসে উপস্থিত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পিতার মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়েছে। বিদ্রোহীরা হোমস দখলের দাবি করেছে। এর পর হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে উল্লাসে সামিল হন।
প্রেসিডেন্ট বাশার সিরিয়া থেকে পালিয়ে যাওয়ার খবর, দামেস্কে ঢুকেছে বিদ্রোহীরা
একই সঙ্গে রাজধানী দামেস্কে ঢুকতে শুরু করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের যোদ্ধারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে সিরিয়ার সেনাবাহিনীকে রাস্তায় তাদের ইউনিফর্ম খুলে বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সমর্থন করতে দেখা যায়। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, বিদ্রোহীরা দাবি করেছে যে তারা সেদনায়া কারাগারে আটক বন্দীদের মুক্তি দেওয়া শুরু করেছে। অভিযোগ রয়েছে, সেখানে হাজার হাজার বিদ্রোহীকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল, যাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়। সর্বশেষ পরিস্থিতিতে রাশিয়ার পর ভারতসহ অন্যান্য দেশ তাদের নাগরিকদের সিরিয়া ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ জারি করেছে। ভারত নাগরিকদের আপাতত সিরিয়া ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে।
১৩ বছর ধরে অশান্ত সিরিয়ায় আসাদের শাসন এবার সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এবার ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়া আগের মতো সিরিয়াকে সাহায্য করতে পারছে না এবং অপর প্রধান সাহায্যকারী হিজবুল্লাহও ইজরায়েলি হামলার কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রসংঘের তথ্য অনুসারে এ পর্যন্ত যুদ্ধে তিন লাখ সত্তর হাজার সাধারণ মানুষ জীবন বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়েছে।
শনিবার একই দিনে চারটি শহর হারিয়েছে সিরিয়া। দারা, কুনেইত্রা, সুওয়াইদা এবং হোমস এখন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। সিরিয়ার বিদ্রোহীরা এখন দামেস্কে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ভারত, আমেরিকা, রাশিয়া ও পাকিস্তান তাদের নাগরিকদের জন্য পরামর্শ জারি করেছে। আমেরিকা বলেছে যে তারা সিরিয়া যুদ্ধে নাক গলাবে না। তবে আইএসআইএসের উত্থান ঠেকাতে সবকিছুই করবে।
বিদ্রোহীরা দামেস্ককে পুরোপুরি ঘিরে ফেলেছে। দামেস্কে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। দামেস্কের ভবনগুলোতে বিপুল সংখ্যক স্নাইপার মোতায়েন করা হয়েছে। সিরিয়ায় গত ১৩ বছর ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। এতে এখন পর্যন্ত চার লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিদ্রোহীরা একের পর এক সিরিয়ার শহর দখল করে নিচ্ছে, যার মধ্যে সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোও রয়েছে।