রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া কেনার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে টাটা গোষ্ঠী। চলতি সপ্তাহের শুরুতে দু'বার টাটা ও স্পাইসজেটের প্রতিনিধিদের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। এয়ার ইন্ডিয়ার শেয়ার কেনা থেকে শুরু করে সংস্থার ঋণ মেটানো সম্পর্কে কীভাবে তহবিল গড়া যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়। দুই সংস্থাই নিজেদের মতো করে পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল। তবে একটি সূত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়া কেনার দৌড়ে স্পাইসজেটকে পিছনে ফেলে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে টাটা গোষ্ঠী।
যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত টাটা গোষ্ঠীর হাতে এয়ার ইন্ডিয়ার ভার যাওয়া সংক্রান্ত ঘোষণা হয়নি। তবে এবিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার শেয়ার কিনতে চেয়ে টাটা গোষ্ঠী স্পাইসজেটের সিইও অজয় সিংয়ের চেয়ে ৫ হাজার কোটি টাকা বেশি দর দিয়েছে। স্পাইসজেট কর্ণধার অজয় সিং ব্যক্তিগত উদ্যোগে এয়ার ইন্ডিয়ার বিড প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন।
এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নিকরণ নিয়ে কেন্দ্রের ঘোষণা সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে মন্ত্রীদের একটি দল এয়ার ইন্ডিয়া স্পেসিফিক অল্টারনেট মেকানিজম (এআইএসএএম) -এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করতে পারে। এয়ার ইন্ডিয়া স্পেসিফিক অল্টারনেট মেকানিজম বা এআইএসএএম-এর দলটির অন্য সদস্যরা হলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রির চেষ্টা শুরু হয় ২০০১ সাল থেকে। তবে ২০০১ সালে কেন্দ্র উদ্যোগী হলেও পরবর্তী সময়ে এব্যাপারে আগ্রহী এমন কোনও সংস্থার সাড়া মেলেনি। এরপর ২০১৮ সালেও ফের একবার ঋণের দায়ে জর্জরিত রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থা বিক্রির উদ্যোগ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেবারও এয়ার ইন্ডিয়া কেনার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি কোনও সংস্থা। ২০১৮-এর পর এবার ২০২১। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রিতে ফের একবার তৎপরতা মোদী সরকারের। বিড-এর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বেশ কয়েকটি পরিবত্রন আনে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন- ভারী বৃষ্টির সতর্কতা উত্তরবঙ্গে, কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া?
কেন্দ্রীয় সরকারের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, একবার বিড-এর জয়ী সংস্থার নাম ঘোষণার ১৫ দিনের মধ্যে শেয়ার-কেনা সংক্রান্ত চুক্তি সই পর্ব সেরে ফেলা হবে। তারপরেই রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থাটির হস্তান্তর প্রক্রিয়া পর্বটি দ্রুত সেরে ফেলা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের ওই কর্তা আরও বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই সংস্থার সম্পত্তি হস্তান্তরের পর্বটি সেরে ফেলা যাবে বলে মনে হচ্ছে।”
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন