যক্ষ্মা (টিবি) এর বিরুদ্ধে দেশের লড়াইকে আরও শক্তিশালী করা এবং টিবি মুক্ত ভারত গড়ার লক্ষে শুক্রবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু 'প্রধানমন্ত্রী টিবি মুক্ত ভারত অভিযান' চালু করেন। এর মূল লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে দেশ থেকে যক্ষ্মাকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাব্য, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার সহ বিশিষ্ট অতিথিবর্গ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৮ সালের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত 'দিল্লি এন্ড টিবি সামিট'-এ দেশকে টিবি-মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই ধারণাটিকে এগিয়ে নিয়ে, 'প্রধানমন্ত্রী টিবি মুক্ত ভারত অভিযান' চালু করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু শুক্রবার টিবি মুক্ত ভারত অভিযান শুরু করেন, যার অধীনে ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতকে টিবি মুক্ত এবং ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে টিবি মুক্ত করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রক নিক্ষয় মিত্র অভিযানের অধীনে পর্যাপ্ত পুষ্টির জন্য রোগীদের 'নিউট্রিশন কিট' দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রচারাভিযানের আওতায় একটি ব্লক, ওয়ার্ড বা জেলার যক্ষ্মা রোগীদের কমপক্ষে এক বছর এবং সর্বোচ্চ ৩ বছরের জন্য দত্তক নেওয়ার ব্যবস্থাও থাকছে। যাতে তাদের খাদ্য, পুষ্টি, জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা যায়।
আরও পড়ুন: < ট্রায়াল শেষ, আরও আধুনিক নতুন ‘বন্দে ভারত ট্রেন’ আগামী মাসেই ‘পথচলার’ সম্ভাবনা >
উত্তরপ্রদেশের বর্তমান রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল চার বছর আগে মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল থাকাকালীন এই ধারণাকে সমাজে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। । প্যাটেল পরে ইউপিতেও এই স্কিমের অধীনে যক্ষ্মা রোগীদের দত্তক নেন এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে এই রোগীদের দত্তক নিতে উৎসাহিত করেন। এখন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই ধারণাটি সারা দেশে কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে প্রায় ১৩ লক্ষ যক্ষ্মা রোগী রয়েছেন, যার মধ্যে অনেকগুলি সরকারী এবং বেসরকারি সংস্থা ৯ লক্ষ রোগীকে দত্তক নিতে রাজি হয়েছে। বাকি রোগীরা জানিয়েছেন, তারা নিজেরাই চিকিৎসা নিতে সক্ষম। সরকারের নতুন প্রকল্প অনুযায়ী, এখন থেকে যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগীকে দত্তক নিতে পারবেন আপনিও। "নি-ক্ষয়" পোর্টালটিতে দত্তক নেওয়া লোকের সংখ্যার একটি রিয়েল-টাইম ট্র্যাকারও থাকবে।