তেলেঙ্গানার জেলাশাসকের সঙ্গে ‘খারাপ’ ব্যবহারের অভিযোগ উঠলো কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের বিরুদ্ধে। রাজ্যের মন্ত্রী কেটি রামা রাও একজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে সর্বসমক্ষে তিরস্কারের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। রামা রাও তার টুইট বার্তায় লিখেছেন উচ্চ পদে আসীন এক সরকারি আমলার সঙ্গে এই ধরনের আচরণ সঠিক নয় এবং এটি সর্বভারতীয় স্তরে প্রভাব ফেলবে”। পরিশ্রমী অফিসারদের নিরাশ করবে” । কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সীতারামন রেশনিং সিস্টেমে কেন্দ্র-রাজ্য আনুপাতিক হার জানতে চাওয়ায় তার সঠিক উত্তর দিতে না পারায় সীতারামন ঘটনাস্থলেই ডিএমকে তিরস্কার করেন।
তেলেঙ্গানার কে চন্দ্রশেখর রাও সরকারের মন্ত্রী কেটিআর শুক্রবার রাতে টুইট করেছেন, "কামারেডির জেলা কালেক্টরের সঙ্গে অর্থমন্ত্রী সীতারামনের খারাপ আচরণে আমি হতবাক। এই ধরণের আচরণ পরিশ্রমী অফিসারদের নিরাশ করবে”।
পুরো ব্যাপারটা কি
জহিরাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এদিন জহিরাবাদ পৌঁছান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ‘লোকসভা প্রবাস যোজনা' প্রকল্পের আওতায় থাকা একটি রেশন দোকানে সারপ্রাইজ ভিজিটে যান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। দু’দিনের তেলেঙ্গানা সফরে শুক্রবার কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করতে কামারেডি জেলায় আসেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সেখানে বীরকুর গ্রামের একটি রেশন দোকানে প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা নিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: < জোড়া ফাঁপরে ইন্সটাগ্রাম তারকা, ববি কাটারিয়ার বিরুদ্ধে জারি লুকআউট নোটিস >
সেই সময়, সীতারামন কামারেডির ডিএম জিতেশ পাটিলকে জিজ্ঞাসা করেন, 'যে চাল খোলা বাজারে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, তা এখানে এক টাকায় বিতরণ করা হচ্ছে। এতে রাজ্য সরকারের ভুমিকা কী?' সীতারমনের এই প্রশ্নের কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি ডিএম। এর পরে, সীতারামন তাকে পরবর্তী আধ ঘন্টার মধ্যে জবাব দিতে বলেন। সীতারামন আরও বলেন যে প্রকল্পে কেন্দ্র তার তরফে ৩০ টাকা দেয়। যেখানে রাজ্য সরকারের দায় কী? পাশাপাশি তিনি বলেন ২০২০ সালের মার্চ-এপ্রিল থেকে, সুবিধাভোগী ছাড়াই রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার তাদের পক্ষ থেকে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিনামূল্যে চাল সরবরাহ করছে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আরও বলেছেন যে পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম (পিডিএস) দোকানে চাল সরবরাহ করা হচ্ছে সেই চাল জনগণের কাছে ঠিক মত পৌঁছাচ্ছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি সীতারামন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে কেন বীরকুরের ন্যায্যমূল্যের দোকানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি নেই। এই বিষয়েও চুপ থাকেন ডিএম জিতেশ পাটিল। তিনি জেলাশাসককে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, প্রতিটি রেশন দোকানে জন্য যেখানে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অধীনে চাল সরবরাহ করা হচ্ছে, সেখানে এই ফ্লেক্স বোর্ড রাখা বাধ্যতামূলক।