কেন্দ্রের সঙ্গে বড়সড় সংঘাতে জড়াল এবার তেলেঙ্গনা। দক্ষিণের এই রাজ্যেও যে কোনও মামলার তদন্তে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই-কে দেওয়া সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ রাজ্য আগেই কার্যকর করলেও বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে অতি সম্প্রতি। বিজেপির তরফে তেলেঙ্গনা হাইকোর্টে একটি মামলা করা হয়। শাসকদলের চার বিধায়কের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তোলে পদ্ম শিবির। সেই অভিযোগের সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে সওয়াল করেন গেরুয়া শিবিরের আইনজীবী। সেই সওয়ালের পরিপ্রেক্ষিতেই কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সরকারের সিবিআই তদন্তে দেওয়া সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।
চলতি বছরের ৩০ অগাস্ট তেলেঙ্গনার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি (স্বরাষ্ট্র) সিবিআইকে দেওয়া সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহারের আদেশটি জারি করেছিলেন। যদিও বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে হাইকোর্টে একটি মামলা ওঠার পরে। বিজেপির তরফে তেলেঙ্গনার শাসকদল টিআরএস-এর চার বিধায়কের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। এই অভিযোগের সিবিআই তদন্ত চেয়ে তেলেঙ্গনা হাইকোর্টে মামলা করা হয়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতকে সিবিআই তদন্তে রাজ্যের সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০ আগস্ট তেলেঙ্গনার স্বরাষ্ট্র দফতর একটি আদেশ জারি করেছে। সেই আদেশে বলা হয়েছে, “তেলেঙ্গানা সরকার দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট, ১৯৪৬-এর ধারা ৬-এর অধীনে জারি করা সব আগের সাধারণ সম্মতিগুলি প্রত্যাহার করেছে।”
আরও পড়ুন- সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে বৈঠকের মাঝেই কেঁপে উঠলো সোমালিয়া, জোড়া গাড়ি বিস্ফোরণে মৃত শতাধিক
কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্টাব্লিশমেন্ট আইন, ১৯৪৬ দ্বারা পরিচালিত হয়। কোনও রাজ্যে কোনও ঘটনার তদন্তে গেলে আগে সিবিআইকে সেই রাজ্যের সরকারের সম্মতি নিতে হবে, এটাই বলা আছে আইনে। তবে শুধু তেলেঙ্গনাই নয়, এর আগেও ৯টি রাজ্য সরকার সিবিআই তদন্তে সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
চলতি বছরের মার্চে নবম রাজ্য হিসেবে মেঘালয় সিবিআই-কে দেওয়া সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহার করেছে। তারও আগে মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, কেরালা এবং মিজোরাম সংস্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে দেওয়া সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহার করেছিল।