বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে বিক্ষোভস্থল খালি করে সরে যেতে হবে কৃষকদের, গাজিয়াবাদ প্রশাসনের এই নির্দেশের পরই উত্তেজনা ছড়াল দিল্লি-ইউপি সীমান্তের গাজিপুরে। এএনআই সুত্রে খবর, রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে কৃষক আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটাতে রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক ও পুলিশ আধিকারিকদের কাছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ পৌঁছে গেছে উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে। এদিকে গাজিয়াবাদ প্রশাসনের পক্ষ থেকে যখন দাবি করা হচ্ছে যে তারা বিক্ষোভস্থল খালি করতে তৈরি, তখনই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছেন ভারত কিষাণ ইউনিয়নের মুখপাত্র রাকেশ টিকাইত। প্রয়োজনে তারা পুলিশের গুলির সামনে বুক পেতে দেবেন, কিন্তু আন্দোলনস্থল ছেড়ে যাবেন না। তিনি বলেছেন, 'প্রশাসন এমন পরিকল্পনা করলে আমি এখানেই থাকব। প্রয়োজনে গুলির মুখোমুখিও হব।' কৃষকদের অভিযোগ, ইতিমধ্যেই আন্দোলনস্থলের বিদ্যুৎ সংযোগ ও জলের সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
এদিকে প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের দ্বারা দিল্লিতে যে হিংসার সঞ্চার হয়েছিল,তার বিরোধিতায় ব্যানার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে এদিনই সিংঘু সীমান্তে জড়ো হন বখতওয়ারপুর ও হামিদপুরের বাসিন্দা কমপক্ষে ৭০ থেকে ১০০ জন। পুলিশ প্রধান এস এন শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে হিংসার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটছে পুলিশ। FIR-এ নাম থাকা কৃষক নেতাদের বিরুদ্ধে এবার লুকআউট নোটিশ জারি হয়েছে। ওই কৃষক নেতাদের পাসপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে। রাকেশ টিকাইট, যোগেন্দ্র যাদব এবং মেধা পাটকার সহ ৩৭ জন কৃষক নেতার নাম রয়েছে পুলিশ FIR-এ। এদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, দাঙ্গা এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন সংসদে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা বয়কটের ডাক কংগ্রেস,তৃণমূল-সহ ১৬ বিরোধী দলের
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারই দেশের ১৬টি বিরোধী দল একযোগে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সেই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২৯ জানুয়ারি সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করবেন তারা। কৃষি আইন নিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ১৫৫ জন কৃষক প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে মারা গিয়েছেন। দেশের কৃষকেরা কেন্দ্রীয় সরকারের আনা কৃষি আইন কিছুতেই মানতে চান না। কিন্তু সরকার একরোখা ভাবে কৃষকদের আন্দোলনকে দমন করার যে নীতি গ্রহণ করেছ তা নিন্দনীয়। রাজধানী দিল্লিতে ২৬ জানুয়ারি কৃষকদের আন্দোলনকে যেভাবে বিছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে জুড়ে দেখানো চেষ্টা হয়েছে, তা কোনও চক্রান্তের চেয়ে কম নয়। এমন সব ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ১৬টি রাজনৈতিক দল এ বারের বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনই অনুপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন