আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফের সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। নাম না করে প্রতিবেশী পাকিস্তানকে খোঁচা দিয়ে তাঁর মন্তব্য 'বিশ্বের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সন্ত্রাসবাদ। আর যেসব দেশ সন্ত্রাসবাদরে মদত দিচ্ছে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।' সমন্বয়ের ভিত্তিতেই সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করতে হবে বলে রাশিয়া আয়োজিত ১২তম ব্রিকস সম্মেলনের মঞ্চে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
শনিবারই সেদেশে জঙ্গি কার্যকলাপের পিছনে ভারতের মদত রয়েছে বলে দাবি করেছিল পাকিস্তান। সেই দাবি নস্যাৎ করেছিল নয়াদিল্লি। সন্ত্রাসবাদীদের তুষ্টিকরণের জন্য পৃথিবীজুড়ে ধিকৃত পাকিস্তান। সেদিক থেকে নজর ঘোরাতেই ইসলামাবাদ 'মিথ্যা কল্পনা' প্রসূত অভিযোগ করছে বলে জানিয়েছিল বিদেশমন্ত্রক। অন্যদিকে সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে চিনের আগ্রাসী নীতিরও প্রবল সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই প্রেক্ষাপটে ব্রিকসের মতো মঞ্চে সন্ত্রসবাদের প্রশ্নে মোদী নাম না করেই চিনের 'বন্ধু' রাষ্ট্র পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিলেন বলেই মত কূটনীতিকদের।
'ব্রিকস দেশগুলির মূল থিম হল বিশ্ব স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা বিষয়ক সমঝোতা, উন্নয়নে এগিয়ে গিয়ে ভবিষ্যতের দিকে তাকানো'। এই বক্তব্য দিয়ে শুরু করেই মোদী বলেন বর্তমানে বিশ্ব একাধিক জিও স্ট্র্যাটেজিক পরিবর্তন দেখছে, যা বিশ্বস্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলবে। প্রভাব পড়বে উন্নয়ন ও নিরাপত্তার ওপরেও। এদিন মোদী বলেন, বিশ্বের একাধিক প্রতিষ্ঠান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়নি। যার ফলে তারা কার্যকারিতা হারাচ্ছে। ফের আস্থা অর্জনে হু, বিশ্ব অর্থ-ভান্ডার, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার পরিকাঠামোগত পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে।
করোনা আবহে ভার্চুয়ালভাবেই ব্রিকসের সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানরা সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে কোভিড মোকাবিলায় ভারতের সাফল্যের খতিয়ান পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এক্ষেত্রে গোটা দুনিয়ার কাছে ভারত অনুকরণযোগ্য বলে দাবি করেন তিনি।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন