রামদেবের সংস্থার পাঁচটি পণ্যের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হল। যে সব পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছিল, সেগুলো হল বিপিগ্রিট, মধুগ্রিট, থাইরোগ্রিট, লিপিডম ট্যাবলেট এবং আইগ্রিট গোল্ড ট্যাবলেট। এর মধ্যে বিপিগ্রিট রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ, মধুগ্রিটকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ওষুধ, থাইরোগ্রিটকে থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণের ওষুধ, লিপিডম কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের ওষুধ এবং আইগ্রিট গ্লুকোমা নিয়ন্ত্রণের ওষুধ বলে রামদেবের সংস্থা দাবি করত।
এই সব ওষুধগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল উত্তরাখণ্ড আয়ুর্বেদ ও ইউনানি লাইসেন্সিং অথরিটি। সেই নির্দেশ সংশোধন করে উত্তরাখণ্ড আয়ুর্বেদ ও ইউনানি লাইসেন্সিং অথরিটি। নতুন নির্দেশনামায় অথরিটি নতুন করে এই সব ওষুধের উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে। নতুন নির্দেশনামায় অথরিটি জানিয়েছে, ৯ নভেম্বরের নির্দেশনামায় কিছু ত্রুটি ছিল।
এই ব্যাপারে উত্তরাখণ্ড স্বাস্থ্য দফতরের আয়ুর্বেদ ও ইউনানি লাইসেন্সিং অথরিটির ড্রাগ কন্ট্রোলার জিসিএন জাংপাঙ্গি জানিয়েছেন যে আগের নির্দেশনামা তাড়াহুড়ো করে জারি করা হয়েছিল। তিনি বলেন, 'আমাদের নির্দেশ জারি করার আগে ওই সংস্থাকে তার বক্তব্য জানানোর সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল।' উত্তরাখণ্ড ড্রাগ কন্ট্রোলার অথরিটি তাদের ভুল শুধরে নেওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন রামদেবের সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণ।
আরও পড়ুন- ভোটে লড়ার টিকিট মেলেনি, চাপ বাড়াতে সিনেমার কায়দায় বিদ্যুতের টাওয়ারে চড়লেন কাউন্সিলর
তিনি গোটা ঘটনায় উত্তরাখণ্ড সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। এর আগের নির্দেশনামায় উত্তরাখণ্ড আয়ুর্বেদ ও ইউনানি লাইসেন্সিং অথরিটি দিব্য ফার্মেসিকে ওই পাঁচ ওষুধের উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, সেই নির্দেশনামায় বলা হয়েছিল, দিব্য ফার্মেসিকে ওষুধগুলোর ফর্মুলার নবীকরণ করে অনুমতি নিতে হবে। তারপরই তারা এই জাতীয় ওষুধ উৎপাদনের অনুমতি পাবেন।
ড্রাগ কন্ট্রোলার অথরিটির এত কড়াকড়ি করার কারণ, কেরলের চিকিৎসক কেভি বাবু রামদেবের সংস্থার ওষুধগুলোর বিরুদ্ধে ড্রাগ কন্ট্রোলার অথরিটির কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, ড্রাগস অ্যান্ড ম্যাজিক রেমেডিস (আপত্তিকর বিজ্ঞাপন) অ্যাক্ট এবং ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক অ্যাক্ট ভঙ্গ করছে। বাবু জুলাই মাসে কর্তৃপক্ষের কাছে সংস্থার বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এরপর, ১১ অক্টোবর ইমেলের মাধ্যমে ফের ড্রাগ কন্ট্রোল অথরিটির কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন।
Read full story in English