সিএএ, এনআরসি আবহে উত্তাল হয়েছে দেশ। এখনও অশান্তি অব্যাহত রাজধানী দিল্লি ও শাহিনবাগ জুড়ে। সেই প্রেক্ষাপটে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপক গুপ্ত বলেছেন প্রতিবাদ যতক্ষণ শান্তিপূর্ণভাবে চলবে ততক্ষণ পর্যন্ত সরকারের বাধা দেওয়ার কোনও অধিকার নেই।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত “গণতন্ত্র ও মতবিরোধ” সম্পর্কিত বক্তৃতার বক্তব্য চলাকালীন বিচারপতি দীপক গুপ্ত বলেন, "মতামত অবশ্যই শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রকাশ করা উচিত। তবে যদি নাগরিকদের মনে হয় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ যথাযথ নয় সেক্ষেত্রে তাঁদের একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। তাঁরাও যেমন সবসময় সঠিক নাও হতে পারে, তেমনই সরকারও সঠিক নাও হতে পারে।" পাশাপাশি বিচারপতি এও বলেন, “আইনবিভাগ, বিচারবিভাগ এমনকি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এই যে কোনও প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা রক্ষা করা উচিত"।
আরও পড়ুন: ৩০০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার, স্নান করল তাজমহল
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হওয়ার পরে বিচারপতি দীপক গুপ্ত রাজধানীতে বায়ুদূষণ রোধের মামলা-সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার সভাপতিত্ব করেছেন। এছাড়াও তিনি যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইনের (পকসো) যথাযথ প্রয়োগের জন্য এই মামলার শুনানি বেঞ্চেও তিনি ছিলেন। আগামী ২ মে ২০২০ সালে তিনি অবসর নেবেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে শান্তি বজায় রাখার আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর
সোমবার আলোচনা বৈঠকে বিচারপতি বলেন, “আমাকে বেশ কয়েকটি বিষয় দেওয়া হয়েছিল, তবে দেশে যা ঘটছে সেই প্রেক্ষাপটে আমি ‘ গণতন্ত্র ও মতবিরোধ’ বিষয়টি বেছে নিয়েছি। মতবিরোধকে কেবল সহ্য করলে হবে না। উৎসাহও দিতে হবে। সরকার ও দেশ দুটি আলাদা জিনিস। দেশের সমালোচনা না করেও আপনি সরকারের সমালোচনা করতে পারেন।” এদিকে এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্র। মোদীকে ‘বহুমুখী প্রতিভাবান’ বলে উল্লেখ করেছেন বিচারপতি মিশ্র। এছাড়াও মোদীর দূরদর্শিতা যে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রশংসিত, সেকথাও শোনা গিয়েছে বিচারপতির গলায়। একইসঙ্গে ১৫০০টির মতো অচল আইনকে বাতিল করায় এদিন প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শীর্ষ আদালতের ওই বিচারপতি।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন