কোনও নীতি যদি সমাজের নিচুতলায় উদ্ভাবনী ভাবনার সঙ্গে কার্যকরই না-হয়, তবে সেই নীতির গুরুত্ব কী? শাসন যদি মানুষের জীবনে কোনও পরিবর্তনই না-আনে, তাহলে পরিবর্তনটা হল কোথায়? রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে নিচুতলায় কাজ করেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ডিএম)-রা। যাঁরা ভারতের মৌলিক প্রশাসনিক বিভাগের দায়িত্ব পালন করেন। আর, তাঁদের জেলার বাসিন্দাদের জীবনে শৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা-সহ নানা পরিবর্তন ঘটান।
আমলাতন্ত্রের 'ইস্পাত কাঠামো' গঠনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী এই জেলাশাসকদের কাজকে সম্মান জানানোর জন্য, The Indian Express, ২০১৯ সালে 'Excellence in Governance Awards (EIGA)' দেওয়া শুরু করেছে। অতিমারীর কারণে গত দু'বছর পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান হতে পারেনি। ফের এবছর তা হচ্ছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এই বছর তার দ্বিতীয় পুরস্কার অনুষ্ঠান করবে। যাঁরা পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে চান, তাঁদের আহ্বান জানানো হচ্ছে। আবেদনের শেষ তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর। বিচারকরা তারপর, দেশের ৭৮০টি জেলার জেলাশাসকদের দ্বারা নাগরিক জীবন এবং প্রশাসনে অগ্রগতির মূল্যায়ন করবেন। তার ভিত্তিতেই দেওয়া হবে পুরস্কার।
প্রথমবারের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে দেশের সমস্ত প্রান্ত থেকে আবেদন জমা পড়েছিল। এমন আধিকারিকরা আবেদন করেছিলেন, যাঁরা নাগরিকদের নদী পরিষ্কার করতে সাহায্য করেছেন। স্কুলের পরীক্ষায় সাফল্যের হার বাড়াতে সাহায্য করেছেন। গতিশীল ও সহজলভ্য যান পরিষেবা চালু করেছেন। যা জনজীবনের চলার পথকে মসৃণ করে তুলেছে। পাশাপাশি, অনেকে আবার কৃষিক্ষেত্রে দুর্দশা দূর করতে সাহায্য করেছে। কেউ বা অত্যাধুনিক কায়দায় বন্যার সতর্কবার্তা দেওয়ার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। আবর্জনাকে সরিয়ে কোনও অঞ্চলকে পার্কে পরিণত করেছেন। একটি অ্যাপের মাধ্যমেই বিয়েতে যৌতুকের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়েছেন। অথবা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুর্দান্ত লড়াই করেছেন।
এবছর পুরস্কারের ১৪টি বিভাগ রয়েছে: উদ্ভাবনী শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, স্বচ্ছতা, লিঙ্গ এবং অন্তর্ভুক্তি, সমাজকল্যাণ, কৃষি, ই-গভর্ন্যান্স, দক্ষতা উন্নয়ন, এমএসএমই, স্টার্ট আপ এবং উদ্ভাবন, স্থায়িত্ব, জল, শক্তি, কেন্দ্র থেকে সম্পদের ব্যবহার এবং রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা। পাশাপাশি, দুর্যোগ রুখতে ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা, জনসাধারণের সুযোগ-সুবিধা ক্ষেত্রে এবছর বিশেষ জুরি অ্যাওয়ার্ডের বিভাগও রয়েছে। সঙ্গে বিচারকদের মতামতের ভিত্তিতে বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- উপস্থিত বুদ্ধিতেই বাজিমাত! হাতির পালের প্রাণ বাঁচিয়ে ‘হিরো’ দুই লোকো পাইলট
পুরস্কারপ্রাপ্ত কাজগুলো দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আর এম লোধার নেতৃত্বাধীন বিচারকদের একটি কমিটি বেছে নেবে। যাতে রয়েছেন জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন এবং প্রথম প্রধান তথ্য কমিশনার ওয়াজাহাত হাবিবুল্লাহ, প্রাক্তন বিদেশসচিব নিরুপমা রাও, প্রাক্তন মন্ত্রিপরিষদ সচিব কেএম চন্দ্রশেখর এবং প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রাক্তন উপদেষ্টা ও পল্লি উন্নয়ন বিভাগের সচিব অমরজিত সিনহা।
সমস্ত আবেদন বিশেষজ্ঞরা খতিয়ে দেখবেন। তার ভিত্তিতে চূড়ান্ত প্রার্থীদের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করা হবে। সেই তালিকা অনুযায়ী, আবেদনে বর্ণিত কাজকর্ম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সংবাদদাতারা সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন।
এক্সপ্রেস গ্রুপ-এর চালু করা 'এক্সিলেন্স ইন জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড'-এর মতো, ইআইজিএও দেশের সর্বোত্তম কাজের পরিবর্তনকে স্বীকৃতি দেবে এবং সেই কাজ নিয়ে গর্ব প্রকাশ করতে চায়। আবেদন করতে, eigawards.indianexpress.com-এ ক্লিক করুন।
Read full story in English