ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনীতি, টক্কর চলছে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাদের মধ্যেও

মডার্নাকে বলাও হয় যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন আনতে। কিন্তু এবার সেই সংস্থাকেই বলা হল চূড়ান্ত পর্যায় ধীর গতিতে করতে।

মডার্নাকে বলাও হয় যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন আনতে। কিন্তু এবার সেই সংস্থাকেই বলা হল চূড়ান্ত পর্যায় ধীর গতিতে করতে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

ট্রাম্প প্রশাসন নির্বাচনের আগেই চেয়েছিল ভ্যাকসিন এনে আমেরিকাবাসীর মন জয় করতে। সেই সময় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা মডার্নাকে বলাও হয় যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন আনতে। কিন্তু এবার সেই সংস্থাকেই বলা হল চূড়ান্ত পর্যায় ধীর গতিতে করতে। নির্বাচনে পরাজয় হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের। সেই কারণেই কি এই 'পলিটিক্স'?

Advertisment

মডার্নার প্রধান তথা ফরাসী বায়োকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার স্টিফান ব্যানসেল এই তথ্যকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। অতিমারী আবহে এই টক্কর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "প্রতিটা দিন এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ"। একসময় ভ্যাকসিন দৌড়ে এগিয়ে ছিল মডার্না। এখন সেই স্থান দখল করেছে ফাইজার। যারা তাঁদের ভ্যাকসিনের কার্যকারীতার তথ্যও প্রকাশ করেছে। স্টিফান এও বলেন, "এই বছর যে সিদ্ধান্ত আমি নিয়েছি সেটা সবচেয়ে কঠিন ছিল।"

আরও পড়ুন, নতুনভাবে মাথা চাড়া দিচ্ছে করোনা, চিন্তা বাড়ছে দেশে

এই মুহুর্তে ভ্যাকসিন তৈরিতে রয়েছে চরম কর্পোরেট প্রতিযোগিতা। ঝুঁকি ও জটিল পরিস্থিতিতে লড়াই চলছে সমানে। বাণিজ্যিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার সঙ্গে রয়েছে উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা। যদিও ফাইজার প্রধান ডা: অ্যালবার্ট বরুলা রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির বিষটি স্বীকার করেননি। ট্রাম্প প্রশাসনকে আশা দিয়েছিলেন তিনিও। তবে ভ্যাকসিনের কার্যকারীতার তথ্য প্রকাশ করেন নির্বাচনের পরে। যা নিয়ে ক্ষুদ্ধ ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বয়ং।

Advertisment

শুধু মার্কিন মুলুকে নয়ে ভারতেও রয়েছে প্রতিদ্বন্ধিতা রাজনীতি। প্রাথমিকভাবে প্রধানমন্ত্রী মোদী যেমন ১৫ অগাস্টেই ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিন বাজারে আনার কথা জানিয়েছিলেন। যদিও বৈজ্ঞানিক গবেষকমহলের সিদ্ধান্তে সে প্রতিশ্রুতি বদলে দেওয়া হয়। সম্প্রতি আরও একটি উদাহরণ দেখা যায়, বিহার নির্বাচনে তুরুপের তাস ছিল ভ্যাকসিন। জিতলে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা জানায় বিজেপি। নির্বাচনী ফলাফল বলছে নীতীশের রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এগিয়ে বিজেপি। জোট সরকারও গঠন হয়েছে। যদিও এই প্রতিযোগীতার মাঝে আসল কারণ কোথাও হারিয়ে যাবে না তো? প্রশ্ন সেটাই

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus