ভারতে তৈরি কফ সিরাপের ব্যাপারে ফের বিশ্ববাসীকে সতর্ক করে দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, 'হু'। ভারতে তৈরি কফ সিরাপগুলোর ব্যাপারে এই নিয়ে সংস্থাটি গত সাত মাসে তৃতীয়বার সতর্কবাণী শোনাল। এর আগে গাম্বিয়া এবং উজবেকিস্তানে ভারতীয় সংস্থা দূষিত কফ সিরাপ সরবরাহ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। এবার মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ এবং মাইক্রোনেশিয়ায় বিক্রি হওয়া সিরাপগুলো সম্পর্কে শোনা গেল সতর্কবাণী।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, গুয়াইফেনেসিন সিরাপ কাশি উপশমে ব্যবহৃত হয়। অস্ট্রেলিয়ার থেরাপিউটিক গুডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের গুণমান নিয়ন্ত্রণ ল্যাবরেটরি জানিয়েছে যে ওই সিরাপে অতিরিক্ত পরিমাণে ডাইথাইলিন গ্লাইকোল এবং ইথিলিন গ্লাইকোল আছে। এই সব দূষিত পদার্থগুলোই গাম্বিয়ায় ৭০ শিশু এবং উজবেকিস্তানে ১৮ শিশুর মৃত্যর জন্য দায়ী। কারণ, ওই সব সিরাপ খেয়ে শিশুগুলোর কিডনি বিকল হয়ে গিয়েছিল।
হু তার সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, এই সব সিরাপে প্রোপিলিন গ্লাইকল, সরবিটল, গ্লিসারিন/গ্লিসারোল কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এই সব কাঁচামাল মেডিক্যাল ফর্মুলেশনে ব্যবহারের আগে পরীক্ষা করা উচিত। কিন্তু, ঠিকমতো পরীক্ষা করা হয়নি। উলটে বিভিন্ন জায়গায় সিরাপগুলো বিক্রি হয়ে গিয়েছে। কোথায় কোথায় সেই সব সিরাপ বিক্রি হয়েছে, তার ওপর নজরদারি প্রয়োজন বলেই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আরও পড়ুন- কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গে জোট ভাঙছে না, এখনও আশাবাদী উদ্ধবের শিবসেনা
এই নিয়ে সতর্কতা হু মঙ্গলবার জারি করেছে। তবে, হু নিজে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছিল ৬ এপ্রিল। যে সিরাপগুলো নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, তার ব্যাচ নম্বর অনুযায়ী, এবছরের (২০২৩ সাল) অক্টোবরে মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। যে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ এবং মাইক্রোনেশিয়ায় ভারতীয় কফ সিরাপটি বিক্রি হয়েছে, সেগুলো প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ। সিরাপটি তৈরি করেছে পঞ্জাবের সংস্থা কিউপি ফার্মাচেম লিমিটেড। তা বাজারজাত করেছে হরিয়ানার সংস্থা ট্রিলিয়াম ফার্মা। আজ পর্যন্ত প্রস্তুতকারক সংস্থা বা বিপণনকারী, কেউই এই সিরাপগুলোর সুরক্ষা ক্ষমতা বা গুণমানের ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে গ্যারান্টি দেয়নি। উজবেকিস্তানে ইতিমধ্যে ভারতীয় সিরাপ সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।