কিছুতেই যাচ্ছে না উদ্বেগ। প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন।
করোনা-সুনামিতে ত্রস্ত গোটা দেশ। সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ে দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ৮ লক্ষের গণ্ডি ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা আইআইটি-কানপুরের অধ্যাপক মণীন্দ্র আগরওয়ালের। অর্থাৎ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দৈনিক সংক্রমণের প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যায় মানুষ এবার একদিনে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে মুম্বই বা দিল্লির মতো দেশের বড় শহরগুলির সংক্রমণের এই ব্যাপক-বৃদ্ধি সম্ভবত এই মাসের মাঝামাঝি সময়েই নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করবে, এমনই মনে করেন আইআইটি-কানপুরের অধ্যাপক এবং গণিতবিদ মণীন্দ্র আগরওয়াল।
Advertisment
ডিসেম্বরের শুরু থেকেই দেশে ধীরে ধীরে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। বড়দিনের পর যা নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করেছে। রাজ্যে-রাজ্যে সংক্রমণের বিদ্যুৎ গতি। দেশজুড়ে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। বাড়তে বাড়তে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ৮ লক্ষ ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা কানপুর আইআইটি-র অধ্যাপক মণীন্দ্র আগরওয়ালের।
তিনি বলেন, ''করোনার তৃতীয় ঢেউ পরের মাসের শুরুতে বা তার সামান্য আগে কোথাও শীর্ষে উঠতে পারে। এখনও পর্যন্ত একটি অনুমানের ভিত্তিতে দিনে চার থেকে আট লক্ষ সংক্রমিত হওয়ার পূর্বাভাস দিচ্ছি। দেশজুড়ে করোনা রুখতে কড়াকড়ি সবে শুরু হয়েছে। সংক্রমণ নামতে আরও এক মাস সময় লাগবে। মার্চের মাঝামাঝি মহামারীর তৃতীয় ঢেউয়ে কমবেশি শেষ হওয়া উচিত।''
Advertisment
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আইডিয়া এক্সচেঞ্জ শুক্রবার (একটি বিশদ প্রতিলিপি সোমবার প্রকাশিত হবে)-এ বক্তৃতা দিতে গিয়ে আগরওয়াল আরও জানান, নির্বাচনগুলি সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার জন্য খানিকটা অবদান রাখে। সংক্রমিতের মোট সংখ্যার ক্ষেত্রে অন্য কারণগুলির মধ্যে নির্বাচনও একটি কারণ মাত্র।
এপ্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন ''তার মানে এটা নয় যে নির্বাচনী সমাবেশ সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়াতে অবদান রাখে না। অবশ্যই সেটাই হয়। কিন্তু যে কোনও রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পিছনে প্রচুর কারণ রয়েছে, নির্বাচনী সমাবেশগুলি তাদের মধ্যে একটি। আশ্চর্যের বিষয় হল, নির্বাচনকে সমীকরণের বাইরে নিয়ে গেলে রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি।''