করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে গোটা দেশ। এই পরিস্থিতিতে ভাইরাসকে রুখতে দিনরাত এক করে দিনে এক লাখ র্যাপিড অ্য়ান্টিবডি কিটসের লক্ষ্য়মাত্রা নিয়েছেন এক দম্পতি। কিটস বানাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন নু লাইফ কনসালেন্টেস অ্য়ান্ড ডিস্ট্রিবিউটর্সের বায়ো-কেমিস্ট ডা. নাদিম রহমান ও তাঁর স্ত্রী আফিফা রহমান। দিনে এক লক্ষ র্যাপিড অ্য়ান্টিবডি কিটস বানানোর জন্য় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দিন রাত এক করে কাজ করে চলেছেন তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে পেশায় ফার্মাসিস্ট আফিফা বলেন, ''এই সময়ে দেশের স্বার্থে এ কাজ কারতে পেরে ভাল লাগছে। আমরা খুবই ভাগ্য়বান যে এ কাজ করতে পারছি''। তিনি আরও বলেছেন, ''সোমবার আমরা এ কাজের অনুমোদন পেয়েছি। তবে যেদিন থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে, তারপর থেকেই আমরা এটার কাজ শুরু করেছিলাম''।
আরও পড়ুন: আইসক্রিম খেলে করোনা সংক্রমিত হয় না, সীলমোহর সরকারের
আইসিএমআরের অনুমোদন মেলার পর এক মহূর্তও নষ্ট না করে গত ১৪ এপ্রিল থেকে র্যাপিড অ্য়ান্টিবডি কিটস বানানোর কাজে লেগে পড়েছে বায়ো কেমিস্ট, ফার্মাসিস্ট ও বায়ো টেকনিশিয়ানদের একটা দল। উল্লেখ্য়, দেশে ৯টি কোম্পানির মধ্য়ে নু লাইফ অন্য়তম, যারা র্যাপিড অ্য়ান্টিবডি কিটস বানানোর জন্য় এনআইভি পুনে ও আইসিএমআরের অনুমোদন পেয়েছে। এই কিটসের ফলে ১৫ মিনিটেরও কম সময়ের ব্য়বধানে ফল জানা যাবে।
এ প্রসঙ্গে ডা. নাদিম বলেন, ''যদি আমাদের সব কর্মীরা কর্মক্ষেত্রে আসতে পারেন এবং কাঁচামাল সঠিক সময়ে পাওয়া যায়, তাহলে খুব সহজেই দিনে এক লক্ষ কিটস বানাতে পারব আমরা। কিন্তু বর্তমানে লকডাউনের জেরে কাঁচামালের ঘাটতি রয়েছে। আমরা এখন দিনে ৬০-৭৫ হাজার কিটস তৈরি করতে পারছি''।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন