এবার থেকে ত্রিপুরার স্কুলের মাঠ বা স্কুল চত্বরে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ কারর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করল রাজ্য সরকার। রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য স্কুল বা স্কুলের মাঠ ব্যবহার করা চলবে না, নির্দেশিকা জারি করে এমনই জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ত্রিপুরা সরকার।
শনিবার এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন ত্রিপুরার স্কুল শিক্ষা অধিকর্তা চাঁদনী চন্দ্রন। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এবার থেকে স্কুল ভবন, শ্রেণিকক্ষ, স্কুল প্রাঙ্গণ, স্কুলের খেলার মাঠ, কনফারেন্স হল এবং অডিটোরিয়াম কোনও রাজনৈতিক দল, সংগঠন তাঁদের কর্মসূচির জন্য ব্যবহার করতে পারবে না। তবে কেবলমাত্র মাধ্যমিক বা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক বা সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা আধিকারিকের কাছ থেকে একটি নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট নিয়ে স্কুল চত্বরে অন্যান্য কর্মসূচি করা যেতে পারে। তবে সেই কর্মসূচিও শুধুমাত্র স্কুল ছুটির দিনে বা স্কুলের সময়ের পরে করতে হবে।
শিক্ষা অধিকর্তার জারি করা ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, 'কয়েকজন প্রধান শিক্ষক ও টিচার-ইনচার্জ স্কুলের সময়ে খেলার মাঠে রাজনৈতিক সভার অনুমোদন দিয়েছেন। তবে তাঁদের এই পদক্ষেপ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। স্কুল চলাকালীন এই ধরনের সভা-সমাবেশে পড়াশোনার ক্ষতি হয়। সেই কারণে এবার স্কুলের সময়ে স্কুলের মাঠে কোনও রাজনৈতিক সমাবেশ বা কর্মসূচিতেই অনুমোদন দেওয়া যাবে না।'
আরও পড়ুন- প্রকাশিত জম্মু কাশ্মীর বোর্ডের দশম শ্রেণির ফল, পাশের হারে ছেলেদের টেক্কা মেয়েদের
করোনার জেরে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার পর সবেমাত্র ত্রিপুরার স্কুলগুলি ফের খুলেছে। এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের মনোনিবেশে ব্যাঘাত ঘটুক এমন কোনও কাজই বরদাস্ত করা হবে না বলে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।
শুধু তাই নয়। স্কুলের মাঠে কোনও কর্মসূচির পরিকল্পনা হলে তা জানলে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধানকে তড়িঘড়ি বিষয়টি স্কুল পরিদর্শক বা জেলা শিক্ষা আধিকারিকের গোচরে আনতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগেরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। সংশ্লিষ্ট কর্মসূচি বাতিল করার জন্য অনুরোধ জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Read story in English