/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/03/jamia-miliya-lead.jpg)
জামিয়া লাইব্রেরি (ছবি- প্রবীণ খান্না)
দিনটা ছিল ১৫ ডিসেম্বর। রাতে পুলিশি নির্যাতন, ভাঙা চেয়ার টেবিল, কাঁদানে গ্যাসের শেলে রক্তাক্ত হয়েছিল জামিয়ার লাইব্রেরি। ভয়ঙ্কর সেই দৃশ্য এখনও টাটকা জামিয়ার অন্দরে। সময় এগিয়েছে, পেরিয়েছে তিন মাস। রাতের সেই স্মৃতি মুছে এবার নতুন মলাটে সাজল জামিয়ার লাইব্রেরি। সেদিনের সেই রাতের ছবির পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দিতে গিয়ে নিজেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছিলেন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র মহম্মদ রফি।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে এক মাসের জন্য সাধারণ ভিসা বাতিলের বেনজির পদক্ষেপ ভারতের, আক্রান্ত ৭৩
যদিও জামিয়া মিলিয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অশান্ত অবস্থা কাটাতেই সেখানে প্রবেশ করেছিল পুলিশ, এমনটাই মত। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী সেদিনের পুলিশি তান্ডবের জেরে প্রায় ২ কোটি ৬৬ লক্ষ মূল্যের সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের। আহত হয়েছে ১২৫ জনেরও বেশি পড়ুয়া। এখনও স্মৃতি টাটকা পুরোনো লাইব্রেরিতে। ক্ষতির পরিমাণ এতোটাই এখনও পর্যন্ত খোলা সম্ভব হয়নি পুরোনো লাইব্রেরি।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/03/jamiya-milia-in-line.jpg)
আরও পড়ুন: করোনা কবলে ক্ষতবিক্ষত শেয়ারবাজার, নিম্নমুখী সেনসেক্স, নিফটি
রফি বলেন, "আমার এখনও চোখে ভাসছে এই দৃশ্য। হঠাৎ করেই সামনের দরজা খুলে পুলিশ ঢুকল। আমরা দৌড়ে গিয়ে উপরে লুকিয়ে ছিলাম। ঘটনাক্রমে ওই জায়গাটা অন্ধকার ছিল বলে পুলিশ আমাদের দেখতে পায়নি। এরকম আগে কখনও হয়নি। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাগত পরিবেশের জন্যও একটা বড় ক্ষতি। পরীক্ষার কয়েকদিন আগে অবশেষে লাইব্রেরি খোলা সম্ভব হল।" সামনেই পরীক্ষা। এদিকে লাইব্রেরি খোলার খবর পেয়েই বুধবার দলে দলে চলে আসে পড়ুয়ারা। যদিও লাইব্রেরির মধ্যে পাল্লা দিয়েই চলছে মেরামতির কাজ।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে,পড়তে থাকুন