Tibet Earthquake Update: ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার এক ঘন্টার মধ্যে পরপর ৬ বার কেঁপে উঠল তিব্বত। বছরের শুরুতেই তিব্বতের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২৬। আহতের সংখ্যা কমপক্ষ ১৮৮। ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও বহু মানুষের আটকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে মৃত্তের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
শুধু তিব্বত নয়, নেপাল, ভারত ও ভুটানেও কম্পন অনুভূত হয়। কম্পনের জেরে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন । এই কম্পনের জেরে শেষ পাওয়া খবর অনুসারে তিব্বতে ১২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ১৮৮ জনের বেশি মানুষ। কমপক্ষে ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শিজাং এবং শিগাতসে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। সংবাদসংস্থা এপি জানিয়েছে, প্রথম জোরালো ভূমিকম্পের পরের তিন ঘণ্টায় প্রায় ৫০ বার কম্পন বা আফটারশক অনুভূত হয়েছে। বুধবার সকালে ফের কেঁপে উঠেছে তিব্বতের জিজাঙ্গ। ভূমিকম্পের জেরে বাড়িঘর তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়ে। পাহাড়ও টুকরো টুকরো হয়ে গেছে।
এদিনের ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তিব্বত ও নেপাল। এই ভূমিকম্পে ৬.৮ মাত্রার এই ভূমিকম্পে ১২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসযজ্ঞের যে ছবি সামনে এসেছে তা রীতিমত ভয় ধরাবে। ইউএসজিএস রিপোর্ট অনুযায়ী, সকাল ৭টা নাগাদ এক ঘণ্টার মধ্যে অন্তত ছয়টি শক্তিশালী ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ডিংরি কাউন্টির সোগো শহরে।
তিব্বতের আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু দালাই লামা ডিংরি কাউন্টিতে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, আজ সকালে তিব্বত ও আশপাশের এলাকায় ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে। বিষয়টি জেনে আমি মর্মাহত। দালাই লামা বলেন, ভূমিকম্পে বহু মানুষ মারা গেছেন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। বাড়িঘর ও সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।