Sheikh Hasina : ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এদিকে হাসিনাকে প্রত্যর্পণের দাবির মধ্যে ভারত হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে।
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের দাবি করছে এবং হাসিনাকে জেলবন্দী করার জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে ইউনূস সরকার। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান ফৌজদারি মামলার প্রেক্ষিপ্তে ইউনূস সরকার প্রথমে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এখন তার পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার । একই সঙ্গে দিল্লি নির্বাসিত প্রাক্তন বাংলাদেশেরব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর শেখ হাসিনা সহ মোট ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।
শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির একদিন পর হাসিনার পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। হাসিনা সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে আইসিটি। এর মধ্যে রয়েছেন হাসিনার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, পুলিশের (আইজিপি) বেনজির আহমেদ এবং জাতীয় টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি)প্রাক্তন ডিরেক্টর জিয়াউল আহসান প্রমুখ।
ভারত ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের দাবির মধ্যেই ভারত বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে। শেখ হাসিনা গত আগস্ট থেকে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। বাংলাদেশে ছাত্র বিক্ষোভের জেরে হাসিনাকে দেশ ছাড়তে হয়। এখন হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর ভারত সরকার শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে যাতে তিনি ভারতে নিরাপদে থাকতে পারেন। এর আগে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য ২৩ ডিসেম্বর ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের কাছে একটি কূটনৈতিক নোট পাঠিয়েছিল। যার কোনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি ভারত সরকার।
শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ কী ?
শেখ হাসিনাকে নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ প্রশ্ন তুলেছে শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ তাহলে কোন দিকে? এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রক আগেই বলেছে, শেখ হাসিনাকে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ঠিক করতে হবে। বাংলাদেশের জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রধান বলেছেন, ২০০৯ সালে বাংলাদেশ রাইফেলসের হাতে ৭৪ জনকে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কমিশনের সদস্যরা ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। এমন পরিস্থিতিতে হাসিনাকে হস্তান্তরের দাবিতে বাংলাদেশ কতটা সফল হয় সেটাই দেখার বিষয়।