Advertisment

লোকসভায় পাশ তিন তালাক বিল

এর আগের দফায় মোদী সরকার লোকসভায় তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিল পাশ করাতে পারেনি। অর্ডিন্যান্স জারি করে ওই প্রথা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Pakistan Conversion

সংসদ

দীর্ঘ তর্ক-বিতর্কের পর  লোকসভায় পাশ হল মুসলিম উইমেন (প্রোটেকশন অফ রাইটস অন ম্যারেজ) বিল ২০১৯ অর্থাৎ তিন তালাক বিল। ২০১৭ সালে দেশের শীর্ষ আদালত তাৎক্ষণিক তিন তালাক নিষিদ্ধ করে রায় দিয়েছিল। তার পরেও বন্ধ হয়নি এই প্রথা। তিন তালাক বেআইনি করতে চেয়ে বৃহস্পতিবার লোকসভায় বিল পেশ করে কেন্দ্রীয় সরকার। দিনের শেষে ভোটাভুটির পর সংসদের নিম্নকক্ষে পাশ হল তিন তালাক বিল।

Advertisment

এর আগের দফায় মোদী সরকার লোকসভায় তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিল পাশ করাতে পারেনি। অর্ডিন্যান্স জারি করে ওই প্রথা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ ২১ জুন লোকসভায় বিলটি পেশ করে বলেছিলেন, লিঙ্গসাম্য ও ন্যায়বিচারের জন্যেই এই বিল পাশ হওয়া প্রয়োজন। ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট তাৎক্ষণিক তিন তালাকের বিরুদ্ধে রায় দেওয়া সত্ত্বেও এই প্রথা বন্ধ হয়নি।

আরও পড়ুন, জঙ্গি নিয়ে ইমরানের ‘অকপট স্বীকারোক্তি’তে সন্তুষ্ট ভারত

সরকারি সূত্রের খবর, আপাতত “শীর্ষ অগ্রাধিকার তালিকায়” নেই এই বিল, যেহেতু রাজ্যসভায় বিল পাশ করতে প্রয়োজনীয় সমর্থন নিশ্চিত করতে চায় সরকার।

প্রসঙ্গত, চলতি অধিবেশনে সংসদের উভয় কক্ষেই বিল পাশ না হলে, এবং তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদন না পেলে, এই সংক্রান্ত যে অর্ডিন্যান্স রয়েছে তার মেয়াদ ফুরিয়ে যাবে। প্রস্তাবিত এই বিলে মুসলমানদের একাংশের মধ্যে প্রচলিত তাৎক্ষণিক তিন তালাক প্রথাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করার বিধান রয়েছে। ২০১৭ সালে পাশ হওয়া সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের ভিত্তিতে তৈরি হয় এই বিলের খসড়া, জন্মলগ্ন থেকেই যা জড়িয়ে পড়েছে একাধিক বিতর্কে।

গতমাসে বিরোধীপক্ষের প্রতিবাদের মধ্যেই লোকসভায় পেশ হয় বিলটি, যদিও সেটি আলোচনা এবং পাশের জন্য গৃহীত হয় নি।

সংসদের উচ্চকক্ষে সংখ্যার খেলাটা যথেষ্ট সূক্ষ্ম – জেডি (ইউ) ছাড়া এনডিএ-র আসন সংখ্যা ১০৯, যার মধ্যে রয়েছে বিজেডি, নির্দল এবং অন্যান্য কিছু সদস্যের সমর্থন। সেখানে বিরোধীপক্ষের আসন সংখ্যা ১০৮। বিলের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে মূলত তিনটি দলের অবস্থানের উপর – জেডি (ইউ) এবং তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস), যাদের রয়েছে ছ’টি করে আসন, এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস, যার রয়েছে দু’টি। মোটকথা, ২৪১-সদস্যের উচ্চকক্ষে বিজেপির আছে ৭৮ টি আসন, এবং এনডিএ-র ১১৫ টি, যেখানে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধীপক্ষের আছে ১০৭ টি আসন। এআইএডিএমকে এবং জেডি (ইউ)-কে বাদ দিলে এনডিএ-র আসন সংখ্যা ১০০’র কম।

Advertisment