গাড়িতে ৫৫০ গ্রাম চরস রোপণের জন্য সিআইএসএফের উচ্চপদস্থ কম্যান্ডান্ট রঞ্জন প্রতাপ সিং (৪৫)-কে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। জানা যাচ্ছে, রাজস্থানে কর্মরত এক মহিলা আইপিএস অফিসারের স্বামীর গাড়িতেই এই অবৈধ কার্যকলাপ শুরু করেছিলেন এই অফিসার। দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, "প্রায় ২০ বছর আগে সিআইএসএফের এই কম্যানন্ডেন্টের সঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দিয়েছিলেন আইপিএস অফিসার। এমনকি উভয়েই এই পরীক্ষার জন্য উত্তরাখণ্ডের লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে পড়াশুনাও করেন।
আরও পড়ুন- ‘ম্যাডাম মুখ্যমন্ত্রী, অপরাধীদের যেন বিচার হয়’, জিয়াগঞ্জকাণ্ডে মমতাকে টুইট বার্তা অপর্ণা সেনের
কীভাবে মাদককাণ্ডে জড়িত হলেন এই অফিসার? পুলিশ জানায়, "জেরার মুখে রঞ্জন সিং জানায় এক মহিলা আইএএস অফিসারের সঙ্গে তাঁর প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পরবর্তীতে সেই মহিলা আইএএস অফিসার অপর এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হলে বেদনাহত হন রঞ্জন সিং। বিয়ের পরও তাঁকে বারবার ফোন করলে বিরক্ত আইএএস অফিসার তাঁকে বকাঝকা করেন। এরপরই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য চরস আনান রঞ্জন।" পুলিশ আরও জানায়, "তথ্য এবং প্রযুক্তি মন্ত্রকে কর্মরত মহিলার স্বামীকে ফাঁদে ফেলতে এবং মাদকদ্রব্য পাচারের কাজে গ্রেফতার করতে তাঁর গাড়িতেই এই কাজ করে রঞ্জন।"
আরও পড়ুন- হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করার আগে পাঁচটি বিষয় জানা উচিত
তবে এই ঘটনায় রঞ্জন একা নন, তাঁকে সাহায্য করেন তাঁরই এক আইনজীবী বন্ধু নীরজ চৌহান (৪০)। তিনিই আলিগড় থেকে এই চরস আনতে সাহায্য করেছিলেন বলে পুলিশ জানতে পারে। সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য যা তদন্ত চলাকালীন হাতে আসে তা হল, সিআইএসএফের ডিআইজির কাছে একটি উড়ো ফোন আসে যেখানে বলা হয়, সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে একটি সন্দেহজনক গাড়ি রয়েছে। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান পুলিশ কর্তারা, ধরা পড়েন সেই আইএএস মহিলার স্বামী।
আরও পড়ুন- বাংলাজুড়ে পথে নামছে ‘গান্ধী সংকল্প’বদ্ধ বিজেপি
কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না রঞ্জন সিংয়ের। পুলিশি জেরায় তথ্য এবং প্রযুক্তি মন্ত্রকে কর্মরত তথা আইএসএস মহিলার স্বামী জানান এই কাজটি তিনি করেননি। এরপরই পুলিশ সিসিটিভি এবং গাড়ি তল্লাশি চালিয়ে খোঁজ পায় রঞ্জন সিং এবং তাঁর বন্ধুর। পুলিশের তরফে জানানো হয়, অভিযুক্তেরা ঘটনাস্থলের কাছাকাছিই ছিলেন, সেখান থেকেই তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
Read the full story in English