লাদাখ সীমান্ত নিয়ে ভারত এবং চিন উত্তেজনা এখনও জারি রয়েছে। এর মধ্যে সীমান্ত ইস্যুতে তরজায় জড়ালেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। যদিও রাজনাথ সিং জানিয়েছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দুই দেশের মধ্যে এই বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে চান তাঁরা। এদিকে করোনা প্রসঙ্গে বিশেষ স্বীকারোক্তি করলেন অমিত শাহ। অন্যদিকে, অনন্তনাগে জঙ্গি হামলায় কংগ্রেস নেতার মৃত্যুতে বিজেপিকেই দায়ী করল কংগ্রেস। আজ দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলির বিস্তারিত প্রতিবেদন পড়ুন এক ঝলকে...
'চিন কি ভারত সীমান্ত দখল করে ফেলেছে' রাজনাথকে প্রশ্ন রাহুলের
'সকলেই জানে সীমান্তে কী চলছে' কেন্দ্রের তরফে এই বিবৃতি আসার পর থেকেই জোর সরগরম চলছে রাজনৈতিক সব মহলে। ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে এদিন ফের সরব হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে নিশানা করেই সোনিয়া-পুত্র বলেন, "হাত নিয়ে তো অনেক কথা বলেছেন, কিন্তু উত্তর দিন চিন কি ভারত সীমান্ত দখল করে ফেলেছে?"
मिर्ज़ा ग़ालिब का ही शेर थोड़ा अलग अन्दाज़ में है। ‘
‘हाथ’ में दर्द हो तो दवा कीजै,
‘हाथ’ ही जब दर्द हो तो क्या कीजै.. https://t.co/k1fhnI6K4N— Rajnath Singh (@rajnathsingh) June 8, 2020
প্রসঙ্গত সোমবারই রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে একটি টুইট করেন রাজনাথ সিং। বিজেপি নেতা উর্দু কবি মির্জা গালিবকে উল্লেখ করে লেখেন, "যখন হাতে ব্যথা থাকে তখন ওষুধ খেতে হয়। কিন্তু হাতই যখন ব্যথা হয়ে দাঁড়ায়, তখন আর কার কী করার আছে?" প্রসঙ্গত, কংগ্রেস দলের চিহ্ন 'হাত'। ওয়াকিবহাল মহলের মত দলীয় চিহ্নকে লক্ষ্য করেই এমন টুইট করেছেন রাজনাথ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
'হতে পারে আমরা ভুল করেছি' করোনা প্রসঙ্গে 'স্বীকারোক্তি' শাহের
নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের নিরিখে বিশ্বে পঞ্চম স্থানে ভারত। দেশে এখনও প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত সংখ্যা। সেই প্রেক্ষিতে এবার কার্যত স্বীকারোক্তির সুর শোনা গেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অমিত শাহের গলায়। সোমবার শাহ বলেন যে কোভিড-১৯ অতিমারীর সময় এদিকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা এই জোড়া ধাক্কার মাঝে হয়তো ভুল করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
তবে নিউ দিল্লি থেকে ওড়িশায় একটি ভার্চুয়াল সভা করার সময় বিরোধীদের প্রতিও আক্রমণ শানান অমিত শাহ। মোদী সরকারের ভুল স্বীকারের পাশাপাশি সরকারের কাজের প্রশংসা করে শাহ বলেন যে নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন সরকারই দেশের জন্য ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটির আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। কিন্তু বিরোধীরা কিছুই করেনি।
শাহ এও বলেন, "কিছু বিকৃত মানসিকতার লোক আছে, যারা বিরোধী। আমি ওনাদের একটা প্রশ্ন করতে চাই। কাজ করতে গিয়ে আমাদের না হয় ভুল হয়েছে, আমরা না হয় কিছুই করিনি। কিন্তু আমাদের সঠিক নিষ্ঠা ছিল। কিন্তু আপনারা কী করেছেন? কেউ সুইডেন থেকে কথা বলেছেন কেউ আমেরিকা থেকে কথা বলেছেন, কিন্তু আপনারা কে কী করেছেন? এই হিসেব দেশের জনতাকে দিতে হবে আপনাদের। কংগ্রেস কিন্তু কিচ্ছু করেনি।"
* 'খুব কষ্টের মধ্যে দিয়ে চলতে হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। মোদীজি তাঁদের প্রতি সহানুভূতিশীল। তাই ১ মে থেকেই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালু করেন তাঁদের জন্য"।
* "কেন্দ্র পরিযায়ীদের বিষয়ে সবসময় চিন্তা করে। তাই দেড় কোটি মানুষ তাঁদের বাড়িতে ফিরতে সক্ষম হয়েছেন।"
* "প্রতিটি রাজ্য সরকার ঠিক মতো কাজ করছে। কেন্দ্রীয় সরকার সবসময় তাঁদের পাশে রয়েছে। চেষ্টা করছি একসঙ্গে একযোগে কাজ করার।"
* শাহ সাফ জানান করোনা লড়াইয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো জায়গায় আছে ভারত।
* ভার্চুয়াল বৈঠক থেকে শাহ বলেন, " মোদী একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি বিপদের আশঙ্কা করেই জনতা কার্ফু ডেকেছিলেন। ভবিষ্যতে যখন এই অতিমারী নিয়ে লেখা হবে, তখন জনতা কার্ফুর কথা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।"
Read the story in English
দেশের আজ গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য খবরগুলি পড়তে থাকুন,
'বিজেপির লোক নয় বলেই সুরক্ষা দেওয়া হয়নি', অনন্তনাগে জঙ্গি হামলায় কংগ্রেস নেতার মৃত্যুতে সরব রাহুল
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার! গত বছরের নভেম্বর মাসের পর সোমবার ফের দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে কংগ্রেস সরপঞ্চকে গুলি করে হত্যা করে সন্দেহভাজন জঙ্গীরা। উপত্যকার কংগ্রেস নেতা অজয় ভারতীর এই মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে দেশের সব রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা। যদিও কংগ্রেস নেতার এই মৃত্যুর পিছনে বিজেপিই দায়ী এমনটাই মত দেশের প্রধান বিরোধী দলের। এর আগে নিজের সুরক্ষার জন্য অজয় সিকিউরিটি চাইলেও তিনি বিজেপির লোক নন বলেই সেই সুযোগ পাননি, সরপঞ্চ নেতার মৃত্যুতে এই সুরেই সরব হয়েছে কংগ্রেস।
* দলের নেতার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে রাহুল গান্ধী লেখেন, “কাশ্মীরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজায় রাখার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গকারী অজয় পন্ডিতের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আমার সমবেদনা। এই দু:সময়ে আমরা আপনাদের পাশে আছি। হিংসার রাজনীতি কোনওদিন জিতবে না।"
My condolences to the family and friends of Ajay Pandita, who sacrificed his life for the democratic process in Kashmir. We stand with you in this time of grief.
Violence will never win.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) June 8, 2020
* পুলিশ জানায় সোমবার সন্ধের সময় লুকবাওয়ানে নিজের ফলের বাগানে ছিলেন বছর চল্লিশের এই কাশ্মীরি পণ্ডিত। জঙ্গিরা বাগানে ঢুকে অতর্কিতে গুলি করে তাঁকে হত্যা করে।
Today at about 1800hrs some unknown #terrorists fired upon one #Congress Sarpanch identified as Ajay Pandit at #Lokbawan #Anantnag who later on #succumbed to his injuries at hospital. #Police is on the spot. Further details shall follow. @JmuKmrPolice
— Kashmir Zone Police (@KashmirPolice) June 8, 2020
* যদিও আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়।
* অজয়ের ভাই বিজয় ভারতী দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, "আমরা এখনও বুখতে পারছি না কেন দাদাকে এভাবে মারা হল।" এমনকী তাঁকে সম্প্রতি কোনও হুমকিও দেওয়া হয়নি বলে জানান ভাই বিজয়।
দেশের আজ গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য খবরগুলি পড়তে থাকুন,
থানায় হাজিরা দিতে হবে অর্ণব গোস্বামীকে
সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীকে মুম্বই পুলিশের কাছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দিতে হবে। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট । অর্ণব গোস্বামী তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা দুটি এফআইআর খারিজের জন্য যে আবেদন করেছিলেন, সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে আদালত এ নির্দেশ দিয়েছে।
* ১০ জুন, বুধবার রিপাবলিক টিভির এডিটর ইন চিফকে পুলিশের কাছে হাজিরা দিতে হবে।
*অর্ণব গোস্বামীকে এনএম জোশী মার্গ থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
*বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া ও রিয়াজ চাগলার বেঞ্চে এদিন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শুনানি হয়।
* অর্ণব গোস্বামী পুলিশের কাছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দেওয়া থেকে নিষ্কৃতির জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন, সে আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। (বিস্তারিত পড়ুন-জেরার জন্য থানায় হাজিরা দিতে হবে অর্ণব গোস্বামীকে)
দেশের আজ গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য খবরগুলি পড়তে থাকুন,
আমরা চাই চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাধান করা হোক: রাজনাথ সিং
'চিনের সঙ্গে বিরোধে যেতে চাই না' জুনের ৬ তারিখ যখন ভারত-চিন সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে সেনার সঙ্গে আলোচনা করছেন সেদিন এমনটাই জানিয়েছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সোমবার মহারাষ্ট্রে একটি ভার্চুয়াল জনসভা করার সময় সেই সুরেই রাজনাথ সিং বলেন, "আমরা চাইছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দুই দেশের মধ্যে এই বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে।"
সোমবার ওই জনসভা থেকে বিরোধী কংগ্রেসকেও এক হাত নেন বর্ষীয়াণ বিজেপি নেতা। সীমান্ত ইস্যুতে কংগ্রেস যেভাবে সরকারকে লক্ষ্য করছে তাঁর তীব্র নিন্দা জানিয়ে রাজনাথ বলেন এই বিষয়টি তিনি সংসদে উত্থাপন করবেন এবং কংগ্রেস যেন সীমান্ত ইস্যুতে জনগণকে বিভ্রান্ত না করে সেই বিষয়টিও তিনি জানাবেন।
* "ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের মধ্যেই ইতিবাচক কথা হয়েছে", সোমবার এমনটাই জানান রাজনাথ সিং
* প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য এই মুহুর্তে দুই দেশই চাইছে এই সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে।
* প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে দু দেশের বিশেষ প্রতিনিধিদের বৈঠকের পর চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয় যে উভয় পক্ষই "সীমান্ত আলোচনার প্রথম থেকেই মতবিনিময় করেছে দুই দেশ"।
* তবে চিনের তরফে যে চুক্তি করতে বলা হয়েছিল তা মানতে রাজি ছিল না ভারত। মোদী সরকারের মত ছিল দুই দেশের সীমানার দৈর্ঘ্যেকেই চুক্তিতে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
* সোমবার চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত, সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে, নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং এবং বায়ুসেনা প্রধান মার্শাল আরকেএস বাহাদুরিয়ার সঙ্গে ভারত চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে বৈঠকে বসেন রাজনাথ সিং।
দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি পড়ুন এই প্রতিবেদনে