Population Crisis: জাপানে জন্মহার রেকর্ড হারে কমছে। চলতি বছরের শুরুতে জন্মহার বিগত কয়েক বছরের তুলনায় অনেকটাই কম রেকর্ড করা হয়েছে, যার প্রধান কারণ কাজের প্রচণ্ড চাপ।
জন্মহার কমে যাওয়ার এই সমস্যার মোকাবেলায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে চলেছে টোকিও সরকার। সম্প্রতি টোকিও সরকার ঘোষণা করেছে যে ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে তাদের কর্মীদের জন্য সপ্তাহে তিন দিনের ছুটির নিয়ম চালু করা হবে।
জাপানের প্রজনন হার ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। গত বছর দেশে মাত্র ৭২৭,২৭৭টি শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। যা জনসংখ্যার স্থিতিশীলতার প্রয়োজনীয় হার ২.১-এর তুলনায় অনেক কম।
মেট্রোপলিটন সরকার জন্মহার বাড়ানোর লক্ষ্যে কর্মচারীদের প্রতি সপ্তাহে তিন দিন ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের আশা, এর ফলে তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে মহিলাদের জন্য স্বাস্থ্যকর ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স তৈরি হবে। কাজের সময় কমিয়ে, সরকার শিশুদের জন্ম ও তাদের যত্নের দায়িত্বের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করার পরিকল্পনা করছে। সরকারের আশা, অতিরিক্ত ছুটি অল্পবয়সী দম্পতিদের সন্তান ধারণে উৎসাহিত করবে।
টোকিওর গভর্নর ইউরিকো কোইকে জোর দিয়ে বলেন, "এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হল সন্তানের জন্ম বা সন্তানের যত্নের ক্ষেত্রে কোনো ব্যাঘাত যেন কাজের চাপে না হয়।"
গভর্নর ইউরিকো কোইকে আরও ঘোষণা করেন, ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে মেট্রোপলিটন সরকারের কর্মচারীরা প্রতি সপ্তাহে তিন দিন ছুটি নেওয়ার বিকল্প পাবেন। এছাড়াও, একটি নতুন "চাইল্ড কেয়ার আংশিক ছুটি" নীতি চালু করা হচ্ছে, যার ফলে কিছু কর্মচারী প্রতিদিন দুই ঘণ্টা কম কাজ করার অনুমতি পাবেন।
স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রকের মতে, জাপানে গত বছর প্রজনন হার ১.২ তে নেমে এসেছে, যা প্রয়োজনীয় ২.১ এর তুলনায় অনেক কম। নতুন নীতির লক্ষ্য দম্পতিদের পিতামাতা হতে উৎসাহিত করা।
গভর্নর ইউরিকো কোইকে বলেন, "দেশের জন্য এই কঠিন সময়ে, টোকিওকে অবশ্যই আমাদের জনগণের জীবন, জীবিকা এবং অর্থনীতির সুরক্ষা ও উন্নতির জন্য উদ্যোগ নিতে হবে।"
এই নীতির লক্ষ্য কর্মজীবী পিতামাতাদের, বিশেষ করে মহিলাদের, তাদের পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভাল ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করা। নতুন ব্যবস্থায় টোকিও মেট্রোপলিটন সরকারের ১৬০,০০০ এরও বেশি কর্মীকে শুক্রবার ছুটি দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।