New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/08/Imran_Khan.jpg)
সমাবেশে ইমরান খান
এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করেছে কমিশন, অভিযোগ অপসারিত পাক প্রধানমন্ত্রীর।
সমাবেশে ইমরান খান
তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইমরান খানকে অপসারণ করতে চাইছিল পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার সেই চেষ্টা থেকে নির্বাচন কমিশনকে বিরত করল পাকিস্তানের আদালত। তোষাখানা (জাতীয় আমানত ভাণ্ডার) মামলার রায়ের পর গত মাসে শীর্ষ নির্বাচনী সংস্থা ৭০ বছর বয়সি ইমরান খানকে তাঁর দলের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করে। পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন 'মিথ্যা বিবৃতি এবং ভুল ঘোষণা'র জন্য পাক সংবিধানের ৬৩ (১) (পি) অনুচ্ছেদের অধীনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরানকে পিটিআই দলের চেয়ারম্যান থাকারও অযোগ্য ঘোষণা করেছিল।
নির্বাচন কমিশনের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে বুধবার পাকিস্তান হাইকোর্টে আবেদন করেন ইমরান। লাহোর হাইকোর্ট (এলএইচসি) ইমরান খানের আবেদনটি গ্রহণ করেছে। আর, তাঁর আইনজীবী জনপ্রতিনিধি আলি জাফরের যুক্তি শোনার পর, ইমরানকে তাঁর দলের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা থেকে নির্বাচন কমিশনকে বাধা দেয়। লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি জাওয়াদ হাসান পাক নির্বাচন কমিশনকে ১১ জানুয়ারি এই ব্যাপারে তার জবাব দাখিলের জন্য নোটিশ জারি করেছে।
ইমরান অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে আদালতে জানিয়েছেন, যে আইনে তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তা কখনও কোনও দোষী ব্যক্তিকে রাজনৈতিক দলের পদাধিকারী হতে বাধা দিতে পারে না। শুধু তাই নয়, ইমরান আদালতে তাঁর আবেদনে আরও বলেছেন যে, নির্বাচন কমিশন তাঁকে দলের চেয়ারপার্সন পদ থেকে অপসারণের চেষ্টা করে এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করেছে।
আরও পড়ুন- কেন কড়া ব্যবস্থা নয়, এয়ার ইন্ডিয়ার আধিকারিক-সেবিকাদের কাছে জানতে নোটিস ডিজিসিএর
আদালতে দাখিল করা আবদনে ইমরান বলেছেন, 'সম্পত্তির তথাকথিত ভুল বিবরণের অভিযোগ করেছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি, পরবর্তীতে অযোগ্যতার ভিত্তিতে আমাকে দলের চেয়ারম্যান পদে থাকতে নিষেধ করেছে। যা পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ার বহির্ভূতই শুধু নয়। এটা সম্পূর্ণ পাকিস্তানের সংবিধান বহির্ভূতও।'
ইমরান বলেছেন, 'সংবিধান ও আইনে কোনও দলের পদাধিকারী থাকার যোগ্যতা এবং অযোগ্যতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভুল ব্যাখ্যা করছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের অযোগ্যতার ব্যাপারে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তা আমার ক্ষেত্রে ভুলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে।'
Read full story in English