বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনায় মোট আসনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচার করার পরিবর্তে সংরক্ষণ হওয়া উচিত প্রতিটি আলাদা বিভাগ অনুযায়ী, এলাহাবাদ উচ্চ আদালতের রায়ের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
এলাহাবাদ উচ্চ আদালতের ২০১৭-এর ৭ এপ্রিলের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রের আবেদনকে মঙ্গলবার নাকচ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ২০১৮-এর এপ্রিলে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে অবকাশকালীন আবেদন করা হয়েছিল।
কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, মোট আসন সংখ্যার নিরিখে সংরক্ষণ না হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ অনুযায়ী সংরক্ষণ হলে সংরক্ষিত প্রার্থীদের সংখ্যা কমে আসবে, তাতে সংরক্ষণের মূল কারণটাই সাধিত হবে না।
আরও পড়ুন, Netaji Subhas museum opening LIVE: ‘নেতাজী ভারতকে সসম্মানে বাঁচার রাস্তা দেখিয়েছিলেন’
ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন (ইউজিসি)-এর নির্দেশ তুলে নেয়নি কেন্দ্র। কিন্তু আদালতে অবকাশকালীন আবেদন নিয়ে শীর্ষ আদালতের রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ পদ্ধতি স্থগিত রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছিল।
রায় দানের সময় এলাহাবাদ উচ্চ আদালত জানিয়েছিল বিভাগের নিরিখে সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু না করলে কোনো বিভাগে সংরক্ষিত প্রার্থীর আধিক্য থাকবে, আবার কোথাও অসংরক্ষিত শ্রেণির অধ্যাপক বেশি থাকবেন, যা ভারতীয় সংবিধানের ১৪ এবং ১৬ নম্বর ধারার মূল উদ্দেশ্যকে খণ্ডন করে।
ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী, একসঙ্গে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কলেজে নিয়োগ হলে সংরক্ষণের মোট সংখ্যার বিচারে নিয়োগ করলে সংরক্ষণের মূল উদ্দেশ্য সাধিত হয়। সেক্ষেত্রে কৃত্রিম ভাবে সংরক্ষণ কমানোর কোনো উপায় থাকে না।
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের পক্ষে সওয়াল করে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, সংবিধানের ১৬(৪) ধারা অনুযায়ী রাজ্য তার নিজের মতো করে সংরক্ষণের পরিকাঠামো পরিবর্তন করতে পারে, যদি রাজ্য স্তরের চাকরিতে সংরক্ষণের আওতায় পড়া মানুষের যথেষ্ট প্রতিনিধিত্ব না হয়।