/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/11/Rajiv-Gandhi-Pic.jpg)
শুক্রবারই রাজীব গান্ধী খুনে দোষীদের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬ দোষীর মুক্তির সিদ্ধান্তে যারপরনাই হতাশ কংগ্রেস। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে খুনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামির মুক্তির সুপ্রিম সিদ্ধান্ত কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলে এদিন স্পষ্টভাবে জানিয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন এই দল।
রাজীব গান্ধী খুনে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি নলিনী শ্রীহরন এবং আরপি রবিচন্দ্রন-সহ মোট ৬ জনকে শুক্রবারই মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্ত ভারতবর্ষের ভাবনার পরিপন্থী বলে মনে করে কংগ্রেস। রাজীব খুনে দোষীদের এভাবে মুক্তি দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট 'ভুল' কাজ করেছে বলে মনে করে কংগ্রেস।
My statement on the decision of the Supreme Court to free the remaining killers of former PM Shri. Rajiv Gandhi pic.twitter.com/ErwqnDGZLc
— Jairam Ramesh (@Jairam_Ramesh) November 11, 2022
রাজীব গান্ধী খুনে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬ আসামীকে আজ সুপ্রিম কোর্ট মুক্তি দিয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে শুক্রবার মুক্তি পেয়েছেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত নলিনী শ্রীহরন, আরপি রবিচন্দ্রন, সন্থান, মুরুগান, রবার্ট পায়াস এবং জয়কুমাররা। একটানা বহু বছর তারা জেলে ছিলেন। তামিলনাড়ু সরকারই রাজীব গান্ধী খুনে দোষীদের মুক্তির পক্ষে সওয়াল করেছিল। শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ছাড়া পেল রাজীব খুনিরা। যদিও শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশে বেজায় চটেছে কংগ্রেস।
একটি বিবৃতিতে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, "প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী রাজীব গান্ধীর খুনিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এটি সম্পূর্ণ ভুল।" তিনি আরও বলেন, “কংগ্রেস এই সিদ্ধান্তের স্পষ্টভাবে সমালোচনা করছে। এই সিদ্ধান্ত কোনওমতেই মেনে নেওয়া যায় না। এটা সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক যে সুপ্রিম কোর্ট এই ইস্যুতে ভারতের চেতনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কাজ করল না।”
আরও পড়ুন- রাজীব হত্যা মামলা: খুনি নলিনী-সহ ৬ জনকে মুক্তির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
উল্লেখ্য, গত ১৮ মে সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের অধীনে বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে রাজীব খুনে সাজাপ্রাপ্ত পেরারিভালানকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল। পেরারিভালানও রাজীব খুনে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলে ছিলেন। পেরারিভালানকে মুক্তির নির্দেশের পরেই আদালতের দ্বারস্থ হন নলিনী-সহ বাকি দোষীরা। মাদ্রাজ হাইকোর্টে তাঁরা মুক্তির আর্জি জানিয়েছিলেন। মাদ্রাজ হাইকোর্ট রাজীব গান্ধী খুনে দোষীদের মুক্তি নিয়ে শীর্ষ আদালতের মতামত জানতে চেয়েছিল। শেষমেশ সু্প্রিম কোর্টই শুক্রবার রাজীব গান্ধী খুনে সাজাপ্রাপ্ত ৬ দোষীকেই মুক্তির নির্দেশ দেয়।