বৃহস্পতিবার লোকসভায় এক বিজেপি সাংসদ বলেছেন, যাঁরা দাবি করেন যে দেশে গাড়ি শিল্পের ক্ষেত্রে মন্দা চলছে, তাঁরা "দেশের বদনাম" করার চেষ্টা করছেন, এবং বিভিন্ন জায়গায় ট্র্যাফিক জ্যাম দেখলেই বোঝা যায় যে আদৌ কোনও মন্দা আসে নি।
উত্তর প্রদেশের বালিয়া জেলার বিজেপি সাংসদ বীরেন্দ্র সিং মস্ত বলেন, "দেশের এবং সরকারের বদনাম করার জন্য একদল মানুষ বলছেন যে গাড়ি শিল্পে নাকি মন্দা এসেছে। গাড়ি বিক্রি যদি কমেই গিয়ে থাকবে, তবে রাস্তায় ট্র্যাফিক জ্যাম হচ্ছে কেন?"
সংসদে কৃষি সংক্রান্ত এক আলোচনায় অংশ নিতে গিয়ে একথা বলেন বীরেন্দ্র সিং। এছাড়াও পেঁয়াজের বাড়তে থাকা দাম নিয়ে তিনি দাবি করেন, বিরোধী সাংসদদের ২৫ টাকায় এক ট্রাক ভর্তি পেঁয়াজ দিতে পারেন তিনি। তাঁর আরও দাবি, বালিয়ার মহম্মদাবাদ শহরে "উন্নতমানের পেঁয়াজ" উৎপাদন হয়, এবং তাঁর বক্তব্য, বিরোধী পক্ষের সাংসদরা তাঁর সঙ্গে তাঁর কেন্দ্রে গেলে তিনি অত্যন্ত কম দামে পেঁয়াজ কিনিয়ে দেবেন তাঁদের।
এর আগে বুধবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এবং বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে দুজনেই বলেন যে, তাঁরা নিজেরা যেহেতু পেঁয়াজ খান না, সেহেতু পেঁয়াজের দাম সম্পর্কে তাঁদের খুব স্পষ্ট ধারণা নেই।
আরও পড়ুন: ‘অর্থমন্ত্রী পেঁয়াজ খান না তো কী খান? অ্যাভোকাডো?’ প্রশ্ন চিদাম্বরমের
বুধবার লোকসভায় পেঁয়াজের ফলনে ঘাটতি এবং ক্রমবর্ধমান দাম সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে সীতারমণ বলেন, “আমি অত রসুন, পেঁয়াজ খাই না বাবা। আমি এমন পরিবারের সদস্য যেখানে পেঁয়াজ নিয়ে কারোর মাথাব্যথা নেই।”
অন্যদিকে চৌবের বক্তব্য, একজন নিরামিষাশী পেঁয়াজের দামের খবর রাখবেন, এমনটা আশা করা উচিত নয়। “আমি নিরামিষাশী। জীবনে পেঁয়াজ খাই নি। আমার মতো লোক কী করে জানবে পেঁয়াজের বাজারদর কত,” বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ভারতের অর্থনৈতিক মন্দা সম্পর্কে কোনও বিজেপি নেতার বিতর্কিত মন্তব্য এই প্রথম নয়। অক্টোবর মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছিলেন, তিনটি বলিউড ছবির বক্স অফিসে কোটি কোটি টাকা আয় প্রমাণ করে দেয় যে আদৌ কোনও মন্দা নেই।
সেসময় প্রসাদের বক্তব্য ছিল, "আমাকে বলা হয় যে ২ অক্টোবর, যা কিনা জাতীয় ছুটির দিন, তিনটি হিন্দি ছবি একদিনে ১২০ কোটি টাকার ব্যবসা করে। দেশের অর্থনীতি মজবুত না থাকলে স্রেফ তিনটি ছবি মিলে একদিনে এত টাকা রোজগার করে কী করে?"