শিশুদের উপর করোনা টিকার প্রয়োগ নিয়ে গবেষণা ও কার্যক্রম মসৃণ গতিতেই চলছে, এমনই জানিয়েছেন পুণের সেরাম ইন্সটিটিউটের কর্ণধার আদর পুণেওয়ালা। চলতি বছরের শেষেই শিশুদের উপর টিকার প্রয়োগ নিয়ে পর্যালোচনা রিপোর্ট সামনে এসে যাবে বলেও আশাবাদী সেরাম-কর্তা।
গত বছর, আমেরিকান টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা নোভোভ্যাক্স ইনকর্পোরেটেড সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে। মার্কিন ওই সংস্থা তাদের টিকার বাণিজ্যকরণের জন্য সেরামের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ভারত সহ নিম্ন আয়ের দেশে টিকা সরবরাহের উদ্দেশ্যে সেরামে সঙ্গে চুক্তি করে সংস্থাটি। এদিকে, শিশুদের উপর কোভোভ্যাক্স টিকার ট্রায়াল কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে। এব্যাপারে এবার স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেরাম কর্তা। শুক্রবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রশ্নের উত্তরে সেরাম কর্তা জানিয়েছেন, শিশুদের উপর কোভোভ্যাক্সের ট্রায়াল মসৃণ গতিতেই চলছে। বছর শেষে এব্যাপারে পর্যালোচনা করা হবে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২২-এর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে এর ফল মিলতে পারে।
শিশুদের টিকাকরণ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে আদর পুণেওয়ালা আরও বলেন, “৩ থেকে ৪ মাস হল সর্বনিম্ন সময়। এই সময়ের মধ্যে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে টিকাটি কতটা নিরাপদ এবং ভালভাবে তা গ্রহণ করা হয়েছে কিনা। আমরা পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা চালাচ্ছি। ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদেরও ট্রায়াল প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। সব বাবা -মা চাইবেন তাঁদের সন্তান সুরক্ষিত থাকুক। আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যেই কোভোভ্যাক্সের অনুমোদনের বিষয়টি স্পষ্ট হতে পারে। তবে ডিসিজিআই এই টিকাকে উপযুক্ত মনে করলে তবেই এব্যাপারে ছাড়পত্র দিতে পারে।”
আরও পড়ুন- ঊর্ধ্বমুখী দেশের কোভিড-গ্রাফ, উৎসবের মরশুম শুরুর মুখে বাড়ছে উদ্বেগ
উল্লেখ্য, শিশুদের উপর এই নিয়ে চারটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হচ্ছে দেশে। ক্লিনিকাল ট্রায়ালে দেখা হবে যে ২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের কোভোভ্যাক্স কতটা নিরাপত্তা দিতে পারছে। তাদের শরীরে কতটা পরিমাণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠছে। জানা গিয়েছে, কোভোভ্যাক্সের এই ট্রায়ালে মোট ৯২০ জনকে নেওয়া হচ্ছে। ১০ টি সাইটে এই ট্রায়াল চলবে। যার মধ্যে ২ টি সাইট রয়েছে পুণেতেই।
Read full story in English
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন