বাজল হরেক রকমের বাদ্য়যন্ত্র। সুরের মূর্চ্ছনায় মুখরিত হল গোটা গ্রাম। নিজস্ব ঘরানার নাচের ছন্দে মাতল এলাকা। ২০ বছর পর নিজের গ্রামে পা রেখে এমনই অভ্য়র্থনা পেলেন ৫০ বছর বয়সী আদিবাসী বিরজু কুলু। পাকিস্তানের জেলে ২০ বছরের বন্দিদশা ঘুচিয়ে অবশেষে শুক্রবার ওড়িশায় নিজের গ্রামে পা রাখলেন বিরজু। এতবছর বাদে আপনজনদের কাছে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা ওই প্রৌঢ়।
২৫ বছর বয়সে বাড়ি ছেলেছিলেন তিনি। তারপর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে কাজ করেন। এরপর পাঞ্জাবে থাকাকালীন একদিন ভুলবশতভাবে পাক ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েন। তাঁর বাবা-মা গত হয়েছেন। তবে, কাকু, কাকিমা, বোনকে কাছে পেয়ে খুশি বিরজু।
আরও পড়ুন: সীমান্তে একের পর এক পাক হামলা, নিহত ৪ জওয়ান-সহ ১০
বিরজুর কথায়, ‘‘খুবই খুশি যে গ্রামের বাড়িতে ফিরতে পেরেছি। বাকি জীবনটা এখানেই কাটাব। বন্ধুদের চেষ্টা করছি মনে করতে। আত্মীয়দের কথাও মনে পড়ছে। এটা একটা দারুণ মুহূর্ত আমার জন্য়’’।
পাকিস্তানে চলে যাওয়ার কথা বলতে গিয়ে বিরজু জানান, ‘‘জেলে ১০ জনের সঙ্গে একটা সেলে ছিলাম। রোজ খাবার দেওয়া হত আমাদের। সবসময় চাইতাম গ্রামের বাড়িতে ফিরতে। শেষমেশ আমার প্রার্থনা শোনা হল’’। বিরজুকে ফেরানোর জন্য় জেলা প্রশাসনের একটা দল অমৃতসর গিয়েছিল। গতমাসে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর অমৃতসর হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন তিনি।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন