মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুর জেলার নানপুর থানার ওসি সহ চার পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হল সম্প্রতি। বিভাগীয় তদন্ততে ধরা পড়েছে জেল হেফাজতে থাকা পাঁচ আদিবাসী ব্যক্তিকে জলের বদলে প্রস্রাব পানে বাধ্য করেছে সাসপেন্ড হওয়া পুলিশ আধিকারিকেরা।
আলিরাজপুরের এসপি বিপুল শ্রীবাস্তব ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ হয়েছে পুলিশি হেফাজতে থাকা আদিবাসী ব্যক্তিদের প্রহার করা হয়েছিল। তাঁদের শরীরে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন, দুটি শিশুকে কাঁধে নিয়ে বন্যার কোমর জলে ১.৫ কিমি হাঁটলেন পুলিশকর্মী
জখম হওয়া পাঁচ ব্যক্তিই আলিরাজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের নিগ্রহ করেছে। আদিবাসী ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এক পুলিশ আধিকারিককে নিগ্রহের অভিযোগ ছিল। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৩ ধারায় তাঁদের আটক করা হয়েছিল। স্থানীয় আদালতের নির্দেশে জামিনে মুক্ত করা হয়েছিল তাঁদের।
পুলিশের দাবি ওই পাঁচ ব্যক্তির সঙ্গে অন্য এক তরুণের ঝামেলা হয়েছিল। আটক করা ব্যক্তিদের মধ্যে এক ব্যক্তির বোনকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল তরুণের বিরুদ্ধে। তরুণকে ধাওয়া করার জন্য পুলিশের কাছে একটি ভ্যান চায়। পুলিশের একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হলে পুলিশকেই নিগ্রহ করেন তাঁরা, অভিযোগ তেমনটাই। প্রসঙ্গত, ওই তরুণ কিন্তু পাঁচ আদিবাসী ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। বরং দায়িত্বরত পুলিশকে নিগ্রহের মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষী দিয়েছেন তিনি।
Read the full story in English