দু’দেশের সম্পর্কের তিক্ততা কাটাতে বোঝাপড়ার রাস্তায় হাঁটতে চান পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সাম্প্রতিক ভারত-পাক উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাই বুধবার সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানালেন ইমরান খান। এ প্রসঙ্গে তিনি বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘সেদিন সন্ধ্যায় নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম। কারণ, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আর টালমাটাল হোক, তা আমরা চাই না। সে ব্যাপারেই আমি স্পষ্ট বার্তা দিতে চেয়েছিলাম। এর মানে এই নয় যে, আমরা ভয় পাচ্ছি। কিন্তু আমাদের দেশও চায় না পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হোক। আমরা একটি বার্তা পাঠিয়েছি।’’
পাক সংসদে বৃহস্পতিবার ইমরান বলেন, ‘‘আমরা ভারতকে বলেছিলাম, পদক্ষেপ গ্রহণ করার মতো গোয়েন্দা তথ্যপ্রমাণ দিন...কিন্তু তথ্যপ্রমাণ দেওয়ার পরিবর্তে ভারতে যুদ্ধের জিগির উঠেছে। আমাদের এখন সন্দেহ হচ্ছে, পাকিস্তানেও কিছু একটা হচ্ছে...পুলওয়ামা নিয়ে ওরা ডসিয়ার পাঠিয়েছে। কিন্তু দু’দিন আগে ওরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন দেখিয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। আগেই ডসিয়ার পাঠাতে পারত। তখন যদি আমরা কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করতাম, তাহলে ওরা ব্যবস্থা নিত। কিন্তু পরে বুঝলাম, ভোটের জন্য এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করা হল।’’
আরও পড়ুন, আপনারা পারলে, আমরাও পারি : ইমরান খান
পাক প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমরা কোনও প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিই। কারণ, হামলায় কেউ হতাহত হয়নি। দেশবাসীর চাপ থাকা সত্ত্বেও আমরা কোনওরকম অস্থিরতার পথে হাঁটিনি। একটা দায়িত্বশীল দেশের ভূমিকা পালন করেছি। ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্যই আমরা আমাদের যুদ্ধবিমানকে পাঠিয়েছিলাম। কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’’
শান্তির বার্তা দিয়ে ইমরান এও বলেন, ‘‘এটাই বলতে চাই যে, পাকিস্তান শান্তি চায়। আমরা স্থিরতা চাই। এই অস্থির পরিস্থিতিতে ভারত বা পাকিস্তান কারও লাভ হবে না..কেউই যুদ্ধে জেতে না।’’
আরও পড়ুন, অভিনন্দনের মুক্তি: “পাইলট প্রজেক্ট মিটল, এবার আসল কাজ”
অন্যদিকে, পাকিস্তানকে কোণঠাসা করা নিয়েও মোদীকে বার্তা দিয়েছেন ইমরান। এ প্রসঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী মত, ‘‘মোদীকে একটা বার্তা দিতে চাই যে, কাউকে কোণঠাসা করবেন না।’’ কাশ্মীর ইস্যু প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খুলেছেন ইমরান। তিনি বলেছেন, ‘‘কাশ্মীরের জন্যই এই ইস্যুগুলো উঠছে। কাশ্মীরকে কি এভাবে দমিয়ে রাখা যাবে? এটা এখন একটা আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। ১৯ বছরের একটা ছেলে কেন আত্মঘাতী জঙ্গি হচ্ছে, সেকথা কি ভারতবাসীর ভাবা উচিত নয়?’’
Read the full story in English