তিন তালাক বিল নিয়ে কেন্দ্রকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট

আবেদনে বলা হয়েছে, "এই আইনের লক্ষ্য তিন তালাকের অবসান নয়, এর উদ্দেশ্যে মুসলিম স্বামীদের শাস্তি দান।"

আবেদনে বলা হয়েছে, "এই আইনের লক্ষ্য তিন তালাকের অবসান নয়, এর উদ্দেশ্যে মুসলিম স্বামীদের শাস্তি দান।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
supreme court, সুপ্রিম কোর্ট

সুপ্রিম কোর্ট।

তিন তালাক বিল নিয়ে কেন্দ্রকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৯ সালের মুসলিম মহিলা (বিবাহ অধিকার রক্ষা) আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে করা এক আবেদনের ভিত্তিতে ওই নোটিস জারি করা হয়েছে। এই বিলে তাৎক্ষণিক তিন তালাক অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।

Advertisment

আবেদনকারীর পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী সলমন খুরশিদ আদালতকে জানান সুপ্রিম কোর্ট আগেই তাৎক্ষণিক তিন তালাককে অকার্যকর বলে রায় দেওয়ার পর ফের তাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার কোনও কারণ নেই।

আরও পড়ুন, ফোনে তিন তালাক না মানতে চাওয়ায় বধূহত্যার অভিযোগ, পুলিশ বলছে পণের জন্য খুন

Advertisment

এর উত্তরে বিচারপতি রামান্না বলেন, "আমার একটা সন্দেহ আছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বাল্যবিবাহ বা পণপ্রথার মত ধর্মীয় প্রথা কার্যকর রয়েছে। এ ধরনের প্রথা এখনও চলে। এসবই অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। তাহলে তিন তালাককে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে না কেন?"

সমস্ত কেরালা জামাইতুল উলেমার তরফ থেকে দায়ের করা ওই আবেদনে বলা হয়েছে, ৩০ জুলাই সংসদে পাশ হওয়া ওই আইন "সংবিধানের ১৪, ১৫ ও ২১ নং অনুচ্ছেদের পরিপন্থী" এবং "কেবলমাত্র মুসলিম শ্রেণির জন্য"।

আবেদনে বলা হয়েছে, "এই আইনের লক্ষ্য তিন তালাকের অবসান নয়, এর উদ্দেশ্যে মুসলিম স্বামীদের শাস্তি দান।" বলা হয়েছে, "স্বামীদের শাস্তি দিয়ে স্ত্রীদের সুরক্ষা পাওয়া যেতে পারে না।"

মুসলিম মহিলা সুরক্ষা বিল ২০১৯ এ বছরের জুলাই মাসে সংসদে পাশ হয়েছে। এই আইনবলে তিন তালাক শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য। এ বিল পাশ হওয়ার আগে তিনবার এ সম্পর্কিত অর্ডিন্যান্স পাশ হয়।

২০১৭ সালের অগাস্ট মাসে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে তাৎক্ষণিক তিন তালাককে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। তবে এ রায়ের ব্যাপারে সহমত হননি সব বিচারক। বেঞ্চের তিন বিচারপতি, রোহিনটন এফ নরিম্যান, উদয় ললিত এবং কুরিয়ান জোসেফ এই প্রথাকে অ-ইসলামি ও  খামখেয়ালি বলে বলে বর্ণনা করেন।

Read the Full Story in English

supreme court