Advertisment

অষ্টম শ্রেণি থেকেই উপার্জনের চিন্তা করো, শিক্ষার্থীদের উপদেশ বিপ্লব দেবের

রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ছাত্র ছাত্রীদের বার্ষিক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এসে এমন চিন্তাভাবনার কথাই জানালেন বিপ্লব দেব।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
biplab deb

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব

ভারতে বেকারত্বের সমস্যা দূর করতে অষ্টম শ্রেণি থেকেই উপার্জনের উপদেশ দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। স্নাতকোত্তর পরবর্তী সময়ে বেকারত্বের সমস্যার সম্মুখীন যাতে না হতে হয় সেই কারণে অষ্টম, নবম শ্রেণি থেকেই উপার্জনের বিষয়ে চিন্তা করতে বললেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ছাত্র ছাত্রীদের বার্ষিক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এসে এমন কথাই জানালেন বিপ্লব দেব।

Advertisment

আরও পড়ুন- ‘ভাইফোঁটায় যেতে চেয়েছিলাম, মমতা কালীপুজোয় ডাকলেন’

বিপ্লব দেবের বক্তব্য, সমস্ত ছাত্রদের কাজ করার মানসিকতা থাকা উচিত। যাতে তারা তাদের ভবিষ্যতের লক্ষ্যগুলি সঠিক সময়ে নির্ধারণ করতে পারে। অন্যদিকে, শিক্ষাক্ষেত্রে বাণিজ্যকরণ নিয়ে বিজেপি নেতা তথা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “বেসরকারী স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বৃদ্ধি পাচ্ছে যাতে শিক্ষার্থীরা উন্নত ভবিষ্যতের জন্য পেশাদার কোর্সগুলি পড়তে সক্ষম হয়। শিক্ষার্থীরা অষ্টম কিংবা নবম শ্রেণি থেকেই উপার্জন সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করার সুযোগ পায়। ফলে স্নাতকের পর তারা সহজেই তাদের উপার্জনের উপায় খুঁজে বের করতে পারবে।"

আরও পড়ুন- ‘সেফটিপিন’-এর প্যান্ডেল! কালীপুজোয় চমক ব্যারাকপুরের

তিনি আরও বলেন, "আগামী ১০ বছরে অর্থনীতি কী হবে তা সকল শিক্ষার্থীর জানা উচিত।" এমনকি, বিপ্লব দেব শিক্ষার্থীদের মনের বিকাশ ঘটানোর জন্য যৌক্তিক পরামর্শ দেওয়ার কথাও বলেছেন। তিনি বলেন, "জীবন চলার জন্য শিক্ষার পাশাপাশি অর্থনীতিরও প্রয়োজন। সুতরাং পড়াশোনা কর্মসংস্থান ভিত্তিক হওয়া উচিত। বিপণন, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, পর্যটন শিল্প, বৃক্ষ উন্নয়ন, রাবার শিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, আইটি হাবে কীভাবে উপার্জন করতে হবে তা শিক্ষার্থীদের জানতে হবে। যাতে কেউ বেকারত্বের সমস্যার সম্মুখীন না হয়।"

তবে শুধু পড়াশুনো নয়, ‘খেলো ত্রিপুরা’, ‘খেলা ইন্ডিয়া’-এর ধারায় গৃহীত একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রীড়া প্রচারের কথা উল্লেখ করেন বিপ্লব দেব। শিক্ষার্থীদের ফিটনেসে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানিয়ে নিয়মিত অনুশীলন ও খেলাধুলা করার জন্যও শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেন তিনি। এমনকি, উন্নয়নের জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের কথাও বলেন। ত্রিপুরায় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য ১,৬৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্তের কথাও উল্লেখ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। শিল্পায়নের মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান এবং দক্ষিণ ত্রিপুরায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য ১,২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের আশ্বাসও দেন।

tripura CM
Advertisment