বাম মুখপত্র 'দেশের কথা' প্রকাশের নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ জারি করল ত্রিপুরা আদালত

চলতি বছরে শাসক দল পাল্টানোর পর থেকেই প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে দেশের কথাকে। এটি আগে নিজেদের ত্রিপুরার কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র হিসেবেই ঘোষণা করত। রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই পত্রিকা প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা বদলে ফেলে

চলতি বছরে শাসক দল পাল্টানোর পর থেকেই প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে দেশের কথাকে। এটি আগে নিজেদের ত্রিপুরার কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র হিসেবেই ঘোষণা করত। রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই পত্রিকা প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা বদলে ফেলে

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

লাল নিশান। ফাইল ছবি।

ত্রিপুরার সিপিআইএম মুখপত্র দেশের কথার প্রকাশনায় স্থানীয় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করল সে রাজ্যের উচ্চ আদালত। আবার প্রকাশিত হতে পারবে 'দেশের কথা'।

Advertisment

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ১১ অক্টোবর থেকে প্রকাশিত হবে 'দেশের কথা'। পত্রিকাটির সম্পাদনার দায়িত্বে থাকা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, "আমাদের পত্রিকা প্রকাশে আর কোনো নিষেধাজ্ঞা রইল না।" 'দেশের কথা' পত্রিকার সেক্রেটারি এবং প্রাক্তন সম্পাদক গৌতম দাস ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাংবাদিককে বলেছেন, "আগামি কাল সকাল থেকে আবার মুখপত্র প্রকাশিত হবে।"

পয়লা অক্টোবর থেকে পশ্চিম ত্রিপুরার জেলা শাসক সন্দীপ নামদেও এবং ত্রিপুরা সদরের মহকুমা শাসকের নির্দেশে বন্ধ ছিল 'দেশের কথার' প্রকাশনা। ৭ অক্টোবর দৈনিক দেশের কথার পক্ষ থেকে এই নির্দেশের প্রতিবাদে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল।

Advertisment

আরও পড়ুন, ত্রিপুরায় এন আর সি সংশোধন করার কোন পরিকল্পনা নেই, জানাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

আগস্ট মাসে দৈনিক দেশের কথা-র বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ আনা হয়। স্থানীয় প্রশাসনের প্রাথমিক তদন্তের পর ত্রিপুরার জেলা শাসক জানিয়েছিলেন, অভিযোগ যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক। তার ভিত্তিতে মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল।

চলতি বছরে শাসক দল পাল্টানোর পর থেকেই প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে দেশের কথাকে। এটি আগে নিজেদের ত্রিপুরার কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র হিসেবেই ঘোষণা করত। রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই পত্রিকা প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা বদলে ফেলে। ডেইলি দেশের কথা সোসাইটি-র তরফ থেকে প্রকাশিত হচ্ছিল এই পত্রিকা।

আদালতের স্থগিতাদেশ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক নামদেও এবং অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া মেলেনি।