নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আঁচ কিছুটা শান্ত হলেও বিক্ষোভের আগুন এখনও ইতিউতি জ্বলছে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায়। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ত্রিপুরার রাজপরিবারের সদস্য প্রদ্যোত দেববর্মণ বলেন, "যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ত্রিপুরা। আমরা চাই না এই বোঝা নিয়ে চলতে। আমি হিন্দু। আমরা আমাদের হিন্দু ভাইবোনদের ভালোবাসি। নির্যাতিত হিন্দু সংখ্যালঘুদের আশ্রয় দেওয়ার উদাহরণ হিসেবে ত্রিপুরার নাম তুলে ধরা হয়। তবে এবার দেশের এই বোঝা নেওয়ার সময় এসেছে।" ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ জানানো প্রদ্যোত দেববর্মণের আবেদন তালিকাভুক্ত করা হয়েছে শীর্ষ আদালতে, এ কথা জানিয়ে দেন ত্রিপুরা রাজপরিবারের এই সদস্য।
আরও পড়ুন: বাংলায় ক্যাব বিক্ষোভ: ‘অবরোধ করবেন না, আইন হাতে তুললে কড়া ব্যবস্থা’, বার্তা মমতার
প্রসঙ্গত, তিনটি আদিবাসী রাজনৈতিক দল নিয়ে গড়ে উঠেছে ত্রিপুরার রাজপরিবার বংশোদ্ভূত এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে যৌথ আন্দোলনকারী দল জেএমএসিএবি। যার মধ্যে রয়েছে ইন্ডিজেনাস ন্যাশনালিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (আইএনপিটি), ন্যাশনাল কনফারেন্স অফ ত্রিপুরা (এনসিটি) এবং তিপ্রাল্যান্ড স্টেট পার্টি (টিএসপি)। এই আন্দোলনকারীদের সঙ্গেই রয়েছে বরাক উপত্যকার হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন। ডিসেম্বরের ৯ তারিখ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ত্রিপুরা বনধের পথে হেঁটেছিল এই সংগঠন। পরবর্তীতে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এবং পরের দিন নয়াদিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক শেষে তারা এই বনধ প্রত্যাহার করে।
আরও পড়ুন: ক্যাব-এনআরসি নিয়ে গণ আন্দোলনের ডাক মমতার, রবিবার থেকে রাজ্যজুড়ে পথে তৃণমূল
ত্রিপুরা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “পরিস্থিতি এখন অনেক ভালো। তবে খুব কম ব্যবসায়ীই দোকান খুলছেন। আমরা চব্বিশ ঘন্টা জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে চলেছি। আধা সেনার তরফে মাঝরাতেও টহল দেওয়া হচ্ছে। আশ্রয় শিবিরে আছেন এমন বেশ কিছু মানুষের মধ্যে এখনও ভয় কাজ করছে। আমরা চেষ্টা করছি তাঁদের নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছে দিতে।"