Donald Trump: ট্রাম্পের ছোঁড়া 'শুল্ক বোমায়' চূর্ণ-বিচূর্ণ ভারত, কোন পথে মিলবে সুরাহা?

Trump’s tariff blitz: ট্রাম্পের নয়া শুল্ক নীতিতে কাঁপছে বিশ্ব। ভারতেও উপরও বিরাট কোপ। সমস্যা সমাধানে চলছে ভারত-মার্কিন শেষ মুহূর্তের আলোচনা। দু'দেশের মধ্যে নতুন বাণিজ্য চুক্তি কী কিছুটা স্বস্তি দেবে? লাখ টাকার প্রশ্ন নিয়েই এখন জোর জল্পনা।

Trump’s tariff blitz: ট্রাম্পের নয়া শুল্ক নীতিতে কাঁপছে বিশ্ব। ভারতেও উপরও বিরাট কোপ। সমস্যা সমাধানে চলছে ভারত-মার্কিন শেষ মুহূর্তের আলোচনা। দু'দেশের মধ্যে নতুন বাণিজ্য চুক্তি কী কিছুটা স্বস্তি দেবে? লাখ টাকার প্রশ্ন নিয়েই এখন জোর জল্পনা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
News in West bengal Live: পশ্চিমবঙ্গের খবর লাইভ

ট্রাম্পের ছোঁড়া 'শুল্ক বোমায়' চূর্ণ-বিচূর্ণ ভারত, কোন পথে মিলবে সুরাহা?

Trump’s tariff blitz: ট্রাম্পের নয়া শুল্ক নীতিতে কাঁপছে বিশ্ব। ভারতেও উপরও বিরাট কোপ। সমস্যা সমাধানে চলছে ভারত-মার্কিন শেষ মুহূর্তের আলোচনা। দু'দেশের মধ্যে নতুন বাণিজ্য চুক্তি কী কিছুটা স্বস্তি দেবে? লাখ টাকার প্রশ্ন নিয়েই এখন জোর জল্পনা। 

Advertisment

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপর ২৬% আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছেন। এরপরই ভারতীয় রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।  তবে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে চলছে শীর্ষ পর্যায়ের আলোচনা। ভারত সরকার এমন শুল্ক বিরোধ সমাধানের দিকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে চলেছেন, যাতে ভারত-মার্কিন বাণিজ্য কোনভাবেই প্রভাবিত না হয়।

বাংলাদেশ-চিন সখ্যতার মাঝেই শ্রীলঙ্কা সফরে প্রধানমন্ত্রী, 'মোদীর মাস্টারপ্ল্যানে' হতবাক তামাম বিশ্ব

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্প্রতি ঘোষিত শুল্ক নীতি ভারতীয় রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। দেশীয় রপ্তানিকারকরা আশঙ্কা করছেন ট্রাম্পের নয়া শুল্ক নীতির ফলে বিদেশী বাণিজ্য মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হতে পারে। তবে, স্বস্তির খবর হল যে এই শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে ভারতীয় ও মার্কিন কর্মকর্তারা বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করার জন্য আলোচনায় বসেছেন। 

Advertisment

সিএনএন-এর এক প্রতিবেদন অনুসারে, ট্রাম্প প্রশাসনের এক শীর্ষ  উপদেষ্টা বলেছেন যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারত, ভিয়েতনাম এবং ইজরায়েলের সঙ্গে  বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে "আলোচনা" করছেন। আমেরিকার ঘোষণা অনুসারে ১০% বেস ট্যারিফ আজ (৫ এপ্রিল) থেকে কার্যকর হয়েছে। অন্যদিকে ভারতের জন্য নির্ধারিত ২৬% ফ্ল্যাট কান্ট্রি-স্পেসিফিক ট্যারিফ আগামী বুধবার, ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এই শুল্ক ঘোষণার দিনটিকে ট্রাম্প আগেই ‘মুক্তি দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। আরোপিত শুল্ককে ট্রাম্প "মুক্তি দিবসের শুল্ক" বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে এর লক্ষ্য হল মার্কিন শিল্পগুলিকে "বিদেশী শোষণ" থেকে রক্ষা করা। তিনি বারবার ভারতকে "সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপকারী দেশগুলির মধ্যে একটি" বলে অভিহিত করেছেন। তবে, এবার তিনি আরও নরম অবস্থান নিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তাঁর "ভালো বন্ধু" বলে অভিহিত করলেন এবং দুজনের  মধ্যে বন্ধুত্বের উপরও জোর দিয়েছেন। 

ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল, 'মুসলিম-বিরোধী' মোদীকে তুলোধনা ওয়াইসির

ভারতের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধির উপর জোর
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে যে ভারতের উচ্চ শুল্ক নীতির কারণে মার্কিন কোম্পানিগুলির ভারতে তাদের পণ্য বিক্রি ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। ভারত যদি এই শুল্ক কমায়, তাহলে মার্কিন রপ্তানি সম্ভাবনা বার্ষিক ৫.৩ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে এই শুল্ক যুদ্ধের ফলে ১৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ইলেকট্রনিক পণ্য এবং ৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের রত্ন ও অলংকার রপ্তানি প্রভাবিত হতে পারে। যদিও অটোমোবাইল যন্ত্রাংশ এবং অ্যালুমিনিয়ামের উপর ইতিমধ্যেই আরোপিত ২৫% শুল্ক এই খাতে আরও ক্ষতির কারণ হতে পারে।

৫০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগিয়ে যাওয়া

ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠকের সময়, ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৫০০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। এই বিষয়টি মাথায় রেখে, ভারত সরকার ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।বাণিজ্য মন্ত্রকের মতে, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি বিস্তৃত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলেছে, যা উভয় পক্ষের জন্যই লাভজনক হবে। ভারত সরকার জানিয়েছে যে তাদের কর্মকর্তারা মার্কিন প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রাখছেন এবং দু'দেশের মধ্যে যাতে বাণিজ্য কোনভাবেই প্রভাবিত না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। 

Trump Donald Trump