দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ, তাঁরা যেই ধর্মেরই হোক না কেন, স্বেচ্ছায় নিজেদের সঙ্গী বেছে নিতে পারবে। সঙ্গী বেছে নেওয়ার জন্য তাঁদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ নয়, এমনই জানাল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এক মুসলিম যুবক এক হিন্দু তরুণীকে বলপূর্বক অপহরণ করেছে বলে দায়ের করা এফআইআর খারিজ করে এমনটা জানিয়েছে হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে আদালত এও জানিয়েছে, বিয়ের জন্য ধর্ম পরিবর্তন বরদাস্ত নয়, এমন আইন মোটেও ভাল নয়। দুই ধর্মের মানুষের বিয়েতে হস্তক্ষেপ করতে নারাজ হাইকোর্ট।
আদালতের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কারণ, সম্প্রতি উত্তররপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেছেন, লাভ জিহাদ রুখতে কড়া আইন আনার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। গত ১১ নভেম্বর সালামত আনসারি ও প্রিয়াঙ্কা খারওয়ার (আলিয়া) নামে যুগল এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর খারিজ করার আবেদনে। সেই মামলার শুনানিতে আদালত জানায়, প্রিয়াঙ্কা-সালামতকে হিন্দু-মুসলিম হিসাবে দেখে না আদালত। বরং দুজন প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে দেখে যাঁরা নিজেদের ইচ্ছায় সুখে থাকার জন্য একে অপরকে বেছে নিয়েছে। স্বেচ্ছায় জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার সাংবিধানিক। ব্যক্তি স্বাধীনতার অধীনে কারও ইচ্ছার বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে পারে না আদালত। ভারতের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২১-এ এমনটাই বর্ণিত রয়েছে।
আরও পড়ুন সোশাল মিডিয়ায় মত প্রকাশে হস্তক্ষেপ নয়, বিতর্কের মাঝে সিদ্ধান্ত বদল কেরালা সরকারের
হাইকোর্টের মতে, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ শুধু আইন বিরুদ্ধই নয়, বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের জন্যও উদ্বেগের। কোনওভাবেই দুজন ভিন ধর্মের মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা যায় না। এই বলে আদালত দুজনের বিরুদ্ধে এফআইআর খারিজ করে দেয়। বিচারপতি পঙ্কজ নাকভি এবং বিবেক আগরওয়ালের বেঞ্চ এই রায় দেয়।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন