ধর্ষণের প্রমাণ পেতে 'টু ফিঙ্গার টেস্ট' করা যাবে না, সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, 'এটি দুর্ভাগ্যজনক যে ধর্ষণের হাত থেকে বেঁচে গেলে তাঁদের পরীক্ষা করার জন্য 'টু ফিঙ্গার টেস্ট' করার প্রথা এখনও সমাজে প্রচলিত রয়েছে'। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে অবিলম্বে এই প্রথা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
সোমবার বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং হিমা কোহলির একটি বেঞ্চ ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের একটি ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষীর বেকসুর মুক্তির সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দিয়েছে। নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তকে বহাল রেখে শীর্ষ আদালত ধর্ষণের প্রমাণ পেতে 'টু ফিঙ্গার টেস্ট' বন্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন- গুজরাটে সেতু বিপর্যয়ে মৃত বেড়ে ১৩৩, চিকিৎসাধীন ৯৩, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জারি উদ্ধারকাজ
এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বেঞ্চের মতে, ''ধর্ষণের প্রমাণ পেতে 'টু ফিঙ্গার টেস্ট' একজন মহিলার মর্যাদা এবং গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করে। এটি দুর্ভাগ্যজনক যে আজও এই প্রথা চালু আছে। এই পদ্ধতিটি যোনিপথের শিথিলতা পরীক্ষা করে। তা নারীর মর্যাদার উপর আঘাত আনে।”
ধর্ষণের প্রমাণ পেতে 'টু ফিঙ্গার টেস্ট' করা হলে এটি একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে বলে সাফ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই প্রথা বন্ধে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে উপযুক্ত সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। কেন্দ্র ও সব রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবদেরও সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের পাঠ্যক্রম থেকে 'টু-ফিঙ্গার টেস্টে'র অধ্যয়নের বিষয়বস্তুগুলি সরানোর নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।