তরুণ বিজেপি নেতা খুনে আটক করা হল দুই অভিযুক্তকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুপিয়ে খুন করা হয় বিজেপি যুব মোর্চার এক নেতাকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করার পাশাপাশি গতকাল বোমাই সরকারের বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান বাতিল করে সন্ধ্যায় নিহত নেতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তাদের সব রকমের সাহায্যের আশ্বাসও দেন তিনি।
দক্ষিণ কন্নড়ের পুলিশ সুপার ঋষিকেশ ভগবান সোনাওয়ানে বলেছেন “গ্রেফতার হওয়া দু’জনের মধ্যে একজনের নামে ইতিমধ্যে ২০২০ সালের একটি অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। গ্রেফতার হওয়া দু’জন হলেন, সাভানুরের বাসিন্দা জাকিরকে (২৯), এবং বেল্লারের বাসিন্দা মহম্মদ শফিক (২৮)। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও একজনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে”। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলার সময় রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন শৃঙ্খলা) অলোক কুমার বলেন, ধৃত জাকির পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (পিএফআই)সক্রিয় সদস্য। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, “খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ২০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: <ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে বায়ুসেনার মিগ-২১ বিমান, মৃত ২ পাইলট>
পুলিশের দুটি দলকে খুনের মাস্টার মাইন্ডকে গ্রেফতারের জন্য কেরলে পাঠানো হয়েছে”। অপর এক পুলিশ কর্তা জানান, ““আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে তা হল যে মঙ্গলবার রাতে নেত্তারুকে হত্যার ঘটনায় তিনজন জড়িত ছিল। অপরাধীরা একটি মোটর বাইক চড়ে এসে কুপিয়ে খুন করে এই বিজেপি নেতাকে”।
গত ১৯ জুলাই মাসুদ নামের একজন চিত্রশিল্পীর ওপর হামলার প্রতিশোধ নিতেই নেত্তারুকে হত্যা করা হয়েছে কিনা তাও পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। এদিকে তরুণ এই যুব নেতার মৃত্যু ঘিরে উত্তাল কর্ণাটক। এদিনও দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ কর্মসূচি। কয়েকটি জায়গায় পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। পাল্টা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়।
অভিযুক্তদের ধরতে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। এই ঘটনায় দলের অভ্যন্তরেই বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা কর্মী এই ঘটনায় সরকারের প্রতি তাদের ক্ষোভ উগরে দেন। পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ মঙ্গলবার বিজেপি নেতার খুনের সঙ্গে গত ১৯ জুলাই রাজ্যের অপর একটি খুনের ঘটনার যোগ থাকতে পারে।