এ বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। কিন্তু সে দেশে করোনার প্রকোপ বাড়ায় ঝটিকা ভারত সফর বাতিল করেছেন জনসন। আর সে কারণে আক্ষেপের সুর শোনা গিয়েছে তাঁর কণ্ঠে। এদিন এক ভিডিও বার্তায় জনসন বলেছেন, 'আজকের দিনে আপনাদের সঙ্গে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনে আমিও মুখিয়ে ছিলাম। বন্ধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমন্ত্রণ করেছিলেন। কিন্তু করোনার বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতে আমাকে লন্ডনেই থাকতে হল।'
ভারতকে বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ সংবিধানের দেশ হিসেবে আখ্যা করেছেন বরিস জনসন। এদিকে, এদিন প্রথা মেনেই রাজপথে উদযাপিত হয় প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ। রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী-সহ উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা।
আরও পড়ুন দিল্লির রাজপথে বাংলার ‘সবুজসাথী’, উত্তরপ্রদেশের রামমন্দিরের ট্যাবলো
এদিন দেশে সামরিক ভাণ্ডারের প্রদর্শন উৎসাহ জাগিয়েছিল আমন্ত্রিতদের মধ্যে। এই প্রথমবার প্রদর্শনের অংশ ছিল রাফালে যুদ্ধবিমান। ছিল টি-৯০ ট্যাঙ্ক, সুখোই বিমানের কেরামতি। মোট ৩২টি ট্যাবলো এদিন প্রদর্শিত হয়েছে। কেন্দ্রশাসিত এলাকা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর এই প্রথম লাদাখের ট্যাবলো রাজপথে নামে। ছিল সামরিক বাহিনীর ছটি সুসজ্জিত ট্যাবলো।
ইতিহাসে প্রথমবার, প্রায় ফাঁকা দর্শকাসন রাজপথের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে। মঙ্গলবার সকালে এক অন্যরকম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের সাক্ষী থাকল রাজধানী নয়াদিল্লি। গতবছর দর্শকের সংখ্যা যেখানে ছিল ১.২৫ লক্ষ, সেটা এবার কোভিড প্রোটোকল মেনে কমিয়ে করা হয়েছে ২৫ হাজার।
কমানো হয়েছে কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারী ট্যাবলোর সংখ্যাও। ১৪৪ থেকে কমিয়ে সেটা করা হয়েছে ৯৬। ছিল না মোটরসাইকেল স্টান্ট। সাহসিকতার জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশুদের মার্চ পাস্টও হয়নি। বিভিন্ন রাজ্য, মন্ত্রক ও সরকারি বিভাগের ট্যাবলোতে অংশগ্রহণকারীদের কোভিড টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়।