এতদিন ধরে ইউক্রেন দাবি করছিল, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে তাদের সামরিক ক্ষেত্রের বিশেষ ক্ষতি হয়নি। যা হয়েছে, সবটাই অসামরিক বাসিন্দাদের। ইউক্রেনের স্কুল, কলেজ, সাধারণ নাগরিকদের বাড়ি এমনকী হাসপাতালেও রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়েছে। তাতে প্রাণহানি ঘটেছে। তবে, সবটাই সাধারণ নাগরিকদের। এখন যুদ্ধ প্রায় শেষই বলা চলে। এবার কিন্তু, সত্যিটা স্বীকার করল ইউক্রেন। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীরও এই যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শুধুমাত্র যুদ্ধের প্রথম ১০০ দিনেই ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ১০ হাজার জওয়ানকে হারিয়েছে। উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস্তোভিচের আরও দাবি, প্রতিদিন রাশিয়ার তুলনায় ইউক্রেনের অন্তত ছয় গুণ বেশি জওয়ান এই যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন। সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন, তাহলে কি ইউক্রেনের ১০ হাজার সেনার মৃত্যু হয়েছে। জবাবে আরেস্তোভিচ বলেন, 'হ্যাঁ, এরকমই।' ইতিমধ্যে, ইউক্রেন আমেরিকা-সহ ন্যাটোভুক্ত ইউরোপের দেশগুলোর কাছে আরও অস্ত্রসাহায্য চেয়েছে। কিয়েভের অভিযোগ, তাদের দেশের পূর্বদিকে ফের রাশিয়া হামলা শুরু করেছে। এবার হামলা চলছে উন্নত অস্ত্রশস্ত্রের সাহায্যে।
ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের উপপ্রধান ভাদিম স্কিবিটস্কি এই প্রসঙ্গে বলেন, 'বর্তমানে লড়াই সম্পূর্ণরূপে গোলন্দাজ বাহিনীর লড়াই হয়ে উঠেছে। হারা কিংবা জেতা, সবটাই এখন নির্ভর করছে আমেরিকা এবং ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো আমাদের কী অস্ত্রসাহায্য দেয়, তার ওপর। ইউক্রেনের চেয়ে রাশিয়ার কাছে ১০-১৫ গুণ বেশি গোলাগুলি আছে।'
সিভিয়ারোদোনেত্স্ক পূর্ব ইউক্রেনের একটা ছোট শহর। এখানেই ক্রমশ ঢুকছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। চতুর্থ মাসের এই লড়াইয়ে যথারীতি যুদ্ধ রক্তক্ষয়ী হয়ে উঠেছে। দক্ষিণে, মারিউপোলের মেয়র আবার জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙে গেছে। রাস্তায় মৃতদেহ পচছে। পরিস্থিতি এমন যে, সত্কার দূরে থাক, দেহ তোলার কেউ নেই।
আরও পড়ুন- কোভিড সত্ত্বেও যথেষ্ট পোক্ত ভারতীয় অর্থনীতি: মার্কিন ট্রেজারি রিপোর্ট
ইউক্রেনীয় এবং ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে রাশিয়ার সেনা ইতিমধ্যেই পূর্ব ইউক্রেনের অনেকটা অঞ্চল দখল করে ফেলেছে। যুদ্ধের সঙ্গে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যাও। রাশিয়া এখন আগের চেয়েও ভারী অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করছে। রাশিয়ার বোমারু বিমানগুলো ৬০-এর দশকের ভারী জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে। সেগুলোই পূর্ব ইউক্রেনে ছুড়ছে বলেই জানিয়েছে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
Read full story in English