Advertisment

উমর খালিদের উপর হামলার ঘটনায় নয়া তথ্য

খালিদের উপর হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নবীন দালাল চার বছর আগেও গ্রেফতার হয়েছিল। ২০১৪ সালে অশোকা রোডে বিজেপির কার্যালয়ে গরুর মাথা নিয়ে ৪০ জনের একটি দল চড়াও হয়েছিল। সেই দলে নবীন দালাল ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
umar khalid, উমর খালিদ

ধৃত নবীন দালাল ও দরবেশ শাহপুর, ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

জেএনইউ ছাত্রনেতা উমর খালিদের উপর হামলার ঘটনায় ধৃতদের সম্পর্কে নয়া তথ্য পেল পুলিশ। খালিদের উপর হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নবীন দালাল চার বছর আগেও গ্রেফতার হয়েছিল। ২০১৪ সালে অশোকা রোডে বিজেপির কার্যালয়ে গরুর মাথা নিয়ে ৪০ জনের একটি দল চড়াও হয়েছিল। সেই দলে নবীন দালাল ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। গরু পাচার রুখতে কড়া আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে গো রক্ষক কর্মী গোপাল দাসের নেতৃত্বে ওই দল চড়াও হয়েছিল। সেসময় ওই ঘটনায় দালালের গ্রেফতারির কথা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন অতিরিক্ত ডিসিপি (স্পেশাল) মণীষী চন্দ্র। ওই ঘটনায় দালালের বিরুদ্ধে পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় এফআইআর করা হয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। ওই মামলা এখনও দিল্লি আদালতে বিচারাধীন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisment

গত সপ্তাহে দিল্লির রফি মার্গে কনস্টিটিউশন ক্লাবের সামনে উমর খালিদের উপর হামলার ঘটনার মূল অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে নবীনকে। সেদিনের হামলা প্রসঙ্গে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৩ অগাস্ট খালিদের উপর হামলার দিন দরবেশ শাহপুর নামে আরেক অভিযুক্ত একটি চায়ের দোকানের কাছে দাঁড়িয়েছিল। হামলার পর দু’জনেই আলাদা আলাদা ভাবে পালিয়ে যায়। পরে তারা ঝাজ্জরে দেখা করে। দালাল ঝাজ্জরের মনদোথি গ্রামের বাসিন্দা। অন্যদিকে শাহপুর জিন্দ এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: জেএনইউ-র ছাত্রনেতা উমর খালিদকে লক্ষ্য করে গুলি, অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ

ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, দু’জনেই সোশ্যাল মিডিয়াতে অত্যন্ত সক্রিয় ছিল। এবং চেয়েছিল কিছু করে দেখাতে। কনস্টিটিউশন ক্লাবের ওই অনুষ্ঠান সম্পর্কে ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারে দরবেশ। ওই অনুষ্ঠানেই যোগ দিতে সেদিন গিয়েছিলেন খালিদ। অনুষ্ঠান বানচাল করে দৃষ্টি আকর্ষণ করাই ধৃতদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

সেদিনের ঘটনায় হামলাকারীরা গুলি চালিয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন উমর খালিদ। ঘটনাস্থল থেকে পিস্তলও উদ্ধার করা হয় বলে জানা গিয়েছিল। এ প্রসঙ্গে ধৃতরা দাবি করেছে, খালিদের উপর হামলা চালানোর জন্য তারা পিস্তল রাখেনি। নিজেদের নিরাপত্তার জন্যই পিস্তল সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল তারা। এ প্রসঙ্গে এক পুলিশ আধিকারিক জানান, "পিস্তলটা শাহপুরের। যে ব্যক্তির কাছ থেকে ও পিস্তলটা নিয়েছিল, তিনি মৃত। তবে ঘটনার সময় পিস্তলটি দালালের হাতে ছিল।"

হামলার আগে ধৃতরা কী করেছিল তাও জানতে পেরেছে পুলিশ। হামলার দিন তারা দু’জনে ফোনে কথা বলেছিল। পরে নজফগড়ের কাছে নাংলি ডেয়ারিতে তারা দেখা করে। কনস্টিটিউশন ক্লাবে যাওয়ার জন্য তারা বাসে উঠেছিল। অনুষ্ঠান শুরু না হওয়ায়, তারা কনস্টিটিউশন ক্লাবের বাইরে চায়ের দোকানে দাঁড়িয়েছিল। এই সময়ই তারা খালিদকে তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে দেখে। এরপরই খালিদের উপর হামলা চালায় দালাল। তবে তারা কি খালিদের উপর হামলা চালাতে আগেভাগে ছক কষেই এসেছিল? এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন, উমর খালিদের ওপর হামলার দায় স্বীকার করা দুই যুবককে আটক করল দিল্লি পুলিশ

হামলার পর দালাল আকাশবাণী ভবনের কাছে লুকিয়েছিল। এরপর অটোয় করে সে ইন্ডিয়া গেটে যায়। তারপর সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট থেকে মেট্রো করে দ্বারকা মোড় মেট্রো স্টেশনে আসে নবীন। সেখান থেকে বাসে করে সে বাহাদুরগড় যায়। এরপর হিসারে সে গা ঢাকা দেয়। ধৃত দু’জনই নিজেদের এলাকায় গা ঢাকা দিয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে তাঁর উপর হামলার ঘটনায় দু’জনের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে উমর খালিদ বলেন, "যদিও দু’জন ধরা পড়েছে, তবুও আশা করব, এ ষড়যন্ত্রে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা জানার জন্য তদন্তপ্রক্রিয়া চলবে। আগের ঘটনাগুলোতে আমরা দেখেছি কীভাবে দক্ষিণপন্থী সংগঠনগুলো খুনে জড়িত। কী কারণে এমন হামলা, তা তদন্ত করে দেখা উচিত। যাঁরা বলেছিলেন এটা সাজানো হামলা, তাঁদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।"

JNU national news
Advertisment