করোনার জের। পার্টি অফিস বসে সাংগঠনিক কাজ দেখভাল করলেই চলবে না। ভয়ঙ্কর এই সময়ে দুস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়াতে বিজেপি সাংসদ, নেতা, কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে দল। সেই মোতাবেক দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোথাউ গোষ্ঠী হেঁসেল চলছে, আবার কোথাউ বিজেপি নেতা-সাংসদদের উদ্যোগে মানুষের বাড়ি বাড়ি পোঁছে দেওয়া হচ্ছে রেশন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী ও দলের সভাপতি জে পি নাড্ডা দলীয় সাসদ, নেতাদের গোষ্ঠী হেঁসেলের উদ্যোগের আর্জি জানিয়েছিলেন। আবেদনে সাড়া দিয়েই কাজ শুরু হয়েছে। বিজেপি সদর দফতরের কর্মী-সাংসদদের এইসব কাজে রোজই প্রায় ৮০-৯০ বার ফোন করতে হচ্ছে। এই কাজের সমন্বয়ের দায়ও তাঁদের ঘাড়েই দেওয়া হয়েছে। আপাতত এক মাস এই ব্যস্ততা থাকবে।
তবে, এসবের মধ্যে দিয়েই জনসংযোগ সেড়ে রাখচে গেরুয়া শিবির। বিভিন্ন জেলায় গোষ্ঠী হেঁশেলের নাম রাখা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নামে। যেমন, উত্তরপ্রদেশে হেঁসেলের নাম দেওয়া হয়েছে মোদী রোটি ব্যাঙ্ক। ঝাড়খণ্ডে হেঁসেলের নাম মোদী আদার। আবার ওড়িশায় এর নাম মোদী আন্না।
আরও পড়ুন- লকডাউন কখন-কোথায়-কীভাবে শিথিল হবে? আলোচনা মন্ত্রিগোষ্ঠীতে
তবে, এইসব কিছুই নিয়ম মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই করা হচ্ছে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক পি মুরলীধর রাও দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, সংগঠনের কাজে যুক্তদের রাজ্য ভাগ করে এই কাজের সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাও নিজে রয়েছেন দক্ষিণী দুই রাজ্য তামিলনাড়ু ও কর্নাটকের দায়িত্বে। দলের আরেক সম্পাদক অনিল জৈনের কাঁধে রয়েছে ছতত্তিশগড় ও হরিয়ারান দায়িত্ব। কাজ সঠিক পথে হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা নিজে প্রত্যেকদিন সন্ধ্যায় সাতটায় ভিডিও কনফারেন্সে নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বিজেপি শাসিত রাজ্যে কর্মসূচি বাস্তবায়ণ যতটা সহজ, বাংলা, ওড়িশা বা বিরোধী শাসিক রাজ্যগুলোতে পরিস্থিতি তেমন নয়। প্রশাসনের কাছে কাজে বাধা পেতে হচ্ছে বিজেপি নেতাদের। সেকথা স্বীকার করলেও মানুষের সেবার উদ্যোগ জারি রাখার নির্দেশ দিয়েছে দীনদয়াল উপাধ্যায় ভবন।
মুখে না বললেও আবার অনেক জায়গায় ভোটের প্রচার এইসব কর্মসূচি দিয়ে আগেভাগেই সেরে রাখছেন পদ্ম শিবিরের নেতারা। যেমন বিহার। চলতি বছরের এরাজ্যে বিধানসভা ভোটে রয়েছে। দলের রাজ্য সভাপতি সঞ্জয় জয়েশওয়ালের কথায়, 'প্রায় ৪,২০০ জন পরিয়ায়ী শ্রমিক গত পাঁচ দিনে বিহারে প্রবেশ করেছে তাঁদের সহায়তায়।' জয়েশওয়াল দম্পতি ডাক্তার। তাঁরা প্রত্যেকদিন স্বউদ্যোগে ১০০ মানুষকে খাওয়াচ্ছেন।
দেশজুড়ে একই থবি দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজেপি এক শীর্ষ নেতা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন