করোনার জের। এবারও প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে স্বাস্থ্যবিধিকে মান্যতা। কুচকাওয়াজে সাধারণ দর্শক, বিশিষ্ট ব্যক্তি, সরকারি কর্মকর্তা, শিশু, এনসিসি ক্যাডেট, রাষ্ট্রদূত, সিনিয়র আমলা এবং রাজনীতিবিদদের মিলিয়ে মোট ২৪ হাজার মানুষ থাকবেন। এমনই খবর মিলেছে সূত্র মারফত। করোনা অতিমারীর মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ হচ্ছে।
এবার এমন একটি সময়ে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান হতে চলেছে যখন দেশ সংক্রমণের শিখরে পৌঁছেছে। প্রতিদিন লক্ষ-লক্ষ মানুষ করেনা আক্রান্ত হচ্ছেন দেশজুড়ে। তবে এখনও পর্যন্ত যা খবর মিলেছে, তাতে অতিমারীর এই ভীষণ প্রভাবের মধ্যেও প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বিশেষ কাটছাঁট হচ্ছে না। গতবার কুচকাওয়াজে ২৫ হাজার দর্শক ছিলেন। এবার তা কমে হচ্ছে ২৪ হাজার।
গত ৫৫ বছরে প্রথম গত বছরই প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে দিল্লিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন না। তবে এবার ভারত মধ্য এশিয়ার পাঁচটি দেশের রাষ্ট্রপতিকে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে সূত্র মারফত খবর মিলেছে। কাজাখস্তানের কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভ, উজবেকিস্তানের শাভকাত মির্জিওয়েভ, তাজিকিস্তানের ইমোমালি রহমন, তুর্কমেনিস্তানের গুরবাংগুলি বারদিমুহামেদো এবং কিরগিজস্তানের সাদির জাপারভকে প্রধান অতিথি হিসেবে চাইছে দিল্লি। যদিও এব্যাপারে সরকারিভাবে কোনও স্পষ্ট তথ্য মেলেনি।
গতবার দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিতি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তবে সেই সময় ব্রিটেনে করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরে ভারত-যাত্রা স্থগিত রেখেছিলেন জনসন। সূত্র বলছে, দেশে করোনা অতিমারী ছড়িয়ে পড়ার আগে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে ১ লক্ষ ২৫ হাজার জনের জমায়েত হতো। গতবার সেই সংখ্যা নেমে এসেছিল মাত্র ২৫ হাজারে।
আরও পড়ুন- CDS কপ্টার দুর্ঘটনার তদন্ত! আবহাওয়ার পরিবর্তন, খেই হারিয়ে পাইলটের ধাক্কা পাহাড়ে!
এবার অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য আরও ১ হাজার আসন কমানো হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ২০০ আসন সাধারণ দর্শকদের জন্য বরাদ্দ থাকছে। যাঁরা টিকিট কেটে ওই আসনে বসতে পারবেন। বাকি ১৯ হাজার বা তার বেশি আসন থাকবে আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য।
গত বছরের মতো এবারও দূরত্ব-বিধি মেনে দর্শকদের বসানোর বন্দোবস্ত করা হবে। দর্শকদের ছয় ফুট দূরে বসানো হবে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হবে। এলাকাটি স্যানিটাইজ করা হবে। দর্শকদের বসার জায়গার কাছাকাছি স্যানিটার ডিসপেনসারও বসানো হতে পারে। সমস্ত সাংস্কৃতিক অংশগ্রহণকারী এবং সশস্ত্র বাহিনীর কর্মীদের জন্য, টিকার দুটি ডোজ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাঁদের সকলের করোনা টেস্ট করানো হবে।
Read full story in English