ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ নিয়ে উত্তাল সারা দেশ। কেন্দ্রের যুক্তি এতে জম্মু কাশ্মীর আরও ভালো ভাবে ভারতের অংশ হয়ে উঠবে। তবে মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আর সেই প্রসঙ্গেই বিদেশমন্ত্রকের ব্যাখ্যা, ‘কেন্দ্রের এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে জম্মু কাশ্মীর নিয়ে সাধারণ মানুষকে আর ভুল বোঝাতে পারবে না পাকিস্তান”।
জম্মু কাশ্মীর এবং লাদাখ কে দু’টি আলাদা আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যে সবুজ সংকেত দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। আর তারপরই বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার জানিয়েছেন এর ফলে জম্মু কাশ্মীর প্রসঙ্গে আর সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝানো যাবে না। প্রসঙ্গত, এক রাজ্য থেকে দু’টি ভিন্ন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কাশ্মীরের ভাগ হয়ে যাওয়া আনুষ্ঠানিক ভাবে কার্যকর হবে আগামী ৩১ অক্টোবর, সর্দার বল্লভ ভাই পাটেলের জন্মজয়ন্তীতে।
শুক্রবার উপত্যকা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৪ ধারা। শনিবার থেকে খুলছে স্কুল-কলেজ।
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার সিদ্ধান্তকে তীব্র সমালোচনা করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কাশ্মীর থেকে বিশ্বের নজর ঘোরাতে ভারত যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার। প্রসঙ্গত, এই একই দাবি ইমরান খান করেছিলেন পুলওয়ামা হামলার সময়ে। তবে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার জানিয়েছেন, “পাকিস্তানই আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। ভারতের তরফে আন্তর্জাতিক মহল আতঙ্কের পরিবেশ দেখছে না”।
কেন্দ্রের সিদ্ধন্তের প্রতিবাদে ভারতের সঙ্গে সবরকম কূটনৈতিক সম্পর্ক ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাক প্রশাসন। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে সমঝোতা এক্সপ্রেস এবং থর এক্সপ্রেস।