মিসাইল ছুড়ে ইউক্রেনের বিমান ধ্বংস করার অভিযোগ উড়িয়েছিল তেহরান। তবে, শনিবার সেই দাবি থেকে সরে এসে দোষ কবুল করল ইরান। তেহরান জানিয়েছে, 'অনিচ্ছাকৃতভাবেই' ইরানী সেনার আক্রমণে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমানটি ধ্বংস হয়েছে। এই দুর্ঘটনা 'ভুলবশত' বলে দাবি করেছে ইরান।
Advertisment
A sad day. Preliminary conclusions of internal investigation by Armed Forces:
Human error at time of crisis caused by US adventurism led to disaster
Our profound regrets, apologies and condolences to our people, to the families of all victims, and to other affected nations.
????
গত বুধবার ইরানের ইমাম খোমেইনি বিমানবন্দর থেকে টেক-অফ করার পরই ইউক্রেন আন্তর্জাতিক বিমানসংস্থার বোয়িং ৭৩৭ ভেঙে পড়ে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনা বলে জানানো হয়। এতে নিহত হন ১৭৬ জন। ইউক্রেন জানিয়েছিল দুর্ঘটনাগ্রস্থ বিমানটি তিন বছরের পুরোন ছিল। ইউক্রেনের তদন্তকারীরা বিমানের ধ্বংসস্তূপ পরীক্ষা করতে চেয়ে অনুমতির আবেদন করে তেহরানের কাছে। তবে তেহরান জানিয়েছিল, তদন্তের খাতিরে দুর্ঘটনাগ্রস্থ বিমানের ব্ল্যাকবক্স দেওয়া হবে না।
ইরাকে মার্কিন সেনাঘাঁটির উপর ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঘটে বিমান ধ্বংসের ঘটনা। ফলে যাত্রীবাহী বিমান ভেঙে পড়াকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠতে থাকে। ইরানী মিসাইল হামলাতেই ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থার বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি ধ্বংস হয়েছে বলে সন্দেহ জোরদার হয়। বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে সাংবাদিক সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে। তিনি বলেছিলেন, 'যান্ত্রিক ত্রুটির ব্যাখ্যা কোনও মতেই ধোপে টেঁকে না। ভুল করেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।' মিসাইল হামলার দিকেই ছিল তাঁর ইঙ্গিত।
যদিও, ট্রাম্পের দাবি উড়িয়ে দেয় তেহরান। শনিবার অবশ্য ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনার জন্য সেনার ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে তেহরান। তবে তাকে 'অনিচ্ছাকৃত' ও 'ভুলবশত' বলে উল্লেখ করা হয়েছে।