Farm Bill Repeal: শুক্রবার ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারপর থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে চলছিল জল মাপার কাজ। যতক্ষণ না সংসদে সিদ্ধান্ত কার্যকরে ভূমিকা নেবে কেন্দ্র, ততক্ষণ জয় নিশ্চিত নয়। এমন মন্তব্য করেছিলেন কৃষক নেতারা। এবার সংসদে কৃষি বিল প্রত্যাহারের প্রাথমিক কাজ সারলেন মোদি মন্ত্রিসভা। বুধবার ক্যাবিনেট বৈঠকে কৃষি বিল প্রত্যাহারে অনুমোদন দেওয়া হল। এদিন সাংবাদিকদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
জানা গিয়েছে, ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে লোকসভায় পেশ হবে এই বিল। তারপর ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করা হবে বিলের খসড়া। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর লোককল্যাণ মার্গ বাসভবনে বৈঠকে বসে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন এই বৈঠকে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, আগামী ২৯ নভেম্বর শুরু হতে চলেছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। অধিবেশনের শুরুতেই কৃষি আইন প্রত্যাহারের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া শুরু করবে সরকার। সংসদের নিয়ম অনুযায়ী, পুরনো কোনও আইন প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে নতুন করে আইন আনার প্রক্রিয়াই অনুসরণ করতে হয়। সংসদের দুই কক্ষেই আইন প্রণয়নের জন্য বিল পাশ করতে হয়। এক্ষেত্রেও তাই করতে হবে। সোজা কথায়, নতুন আইন তৈরি করে পুরনো আইন প্রত্যাহার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেইসঙ্গে তিনি দেশবাসীর কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন। কিন্তু এক বছর ধরে আন্দোলনরত কৃষকদের দাবি, যতক্ষণ না পর্যন্ত সংসদে কৃষি আইন প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হবে ততক্ষণ বিক্ষোভস্থল থেকে নড়বেন না তাঁরা।
আরও পড়ুন নজরে পর্যটন, ‘ভারত গৌরব’ ট্রেন চালুর পথে রেল, চালাবে বেসরকারি সংস্থা
সেই অনুযায়ী, আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইন প্রত্যাহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তারপর এই আইন প্রত্যাহারের জন্য সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতে বিল আনবে সরকার। সংসদের দুই কক্ষে তা পাশ করিয়ে রাষ্ট্রপতির চূড়ান্ত অনুমোদনের পর আইন প্রত্যাহারের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এবার এই বিল পাশ করতে কত সময় লাগবে তা সরকারের অগ্রাধিকারের উপর নির্ভর করছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন