রবিবারের দুর্ঘটনায় মারাত্মক জখম হওয়ার এক মাস আগে উন্নাওয়ের নিগৃহীতা দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের কাছে চিঠি লিখেছিলেন। সে চিঠিতে তাঁকে যারা হুমকি দিচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। চিঠিতে তিনি লেখেন, কিছু লোক তাঁর বাড়িতে এসে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। তারা বলছে নাহলে তাঁর পুরো পরিবারকে জেলে পাঠানো হবে।
এ বছরের ১২ জুলাই লেখা চিঠিতে তিনি প্রধান বিচারপতিকে বলেন, "যারা হুমকি দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।" সংবাদসংস্থা এএনআই এ খবর জানিয়েছে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, "লোকে আমার বাড়িতে এসে মামলা তুলে নিতে বলছে, বলেছে না হলে ভুয়ো মামলায় জেলে পাঠাবে।"
আরও পড়ুন, সেঙ্গারের ছেলেদের ভয়ে থমথমে উন্নাওয়ের সেই গ্রাম
বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গারের বিরুদ্ধে গত বছর ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন ওই মহিলা। রবিবার দুপুরে রায় বরেলি জেলায় এক পথ দুর্ঘটনায় তিনি মারাত্মক জখম হন। উন্নাও থেকে গাড়িতে করে রায় বরেলি জেলা কারাগারে যাওয়ার সময় এক ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে ওই গাড়ির। নিগৃহীতার দুই আত্মীয়া ওই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন, এবং মহিলার আইনজীবীরও মারাত্মক চোট লেগেছে। নিগৃহীতার কাকা সেঙ্গারের বিরুদ্ধে দুর্ঘটনার পরিকল্পনা করার অভিযোগ এনেছেন।
রায় বরেলি পুলিশ সোমবার সেঙ্গারের বিরুদ্ধে সোমবার এফআইআর দায়ের করেছে। এফ আই আরে নাম রয়েছে বিধায়কের ভাই মনোজ ও আরও ১২ জনের। সেঙ্গার বর্তমানে ধর্ষণের দায়ে জেলে রয়েছেন। উল্লেখ্য, আর্মস অ্যাক্টের একটি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার একদিন পরেই বিচার বিভাগীয় হেফাজতে মৃত্যু হয় মহিলার বাবার, এবং রায় বরেলি জেলা কারাগারে খুনের অভিযোগে বন্দী হয়ে রয়েছেন তাঁর আরেক আত্মীয়।
আরও পড়ুন, উন্নাও ধর্ষণে অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক সেঙ্গারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের
এফ আই আরে মহিলার কাকা অভিযোগ করেছেন, নিগৃহীতার নিরাপত্তার জন্য যে সব পুলিশকর্মীকে রাখা হয়েছিল, তাঁরাই মহিলার গতিবিধির সমস্ত খবরাখবর দেন সেঙ্গারের লোকজনকে। মহিলা রবিবার যে গাড়িতে যাচ্ছিলেন, সেটিতে কেন কোনও নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর কাকা। মহিলার নিরাপত্তার জন্য যে নয়জনকে মোতায়েন করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে এক বন্দুকধারী সহ তিনজনের সর্বক্ষণ তাঁর সঙ্গে থাকার কথা।
মহিলা এবং তাঁর আইনজীবী মারাত্মক আহত। লখনৌয়ের কিং জর্জেস মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির ট্রমা কেয়ার সেন্টারে তাঁদের ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
Read the story in English