নাগরিকত্ব আইনের বিক্ষোভে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কে কর্নাটকের ইয়েদুরাপ্পা সরকার। এমন আবহে সিএএ বিক্ষোভে নিহতদের প্রতি আরও এক ‘বিরূপ মনোভাব’ সামনে এল। নাগরিকত্ব আইনের বিক্ষোভে উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরে নিহত দু’জনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন না যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রী। এমনকী, নিহতদের সরকারি সম্পত্তি ‘ধ্বংসকারী’ বলে বর্ণনা করেছেন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী কপিল দেব আগরওয়াল। যা ঘিরে জোর বিতর্ক জাতীয় রাজনীতিতে।
আরও পড়ুন: আন্দোলনকারীদের ‘অধিকার ও দায়িত্বের’ পাঠ দিলেন মোদী
এ প্রসঙ্গে যোগী রাজ্যের ওই মন্ত্রী বলেন, ‘‘সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসকারীদের বাড়িতে কেন যাব? কীভাবে কেউ এমন ধ্বংসলীলা চালাতে পারেন। কীভাবে কেউ গোটা দেশ, রাজ্য জ্বালাতে পারেন। শুনুন, যাঁরা এমন ধ্বংসলীলা চালাচ্ছেন, তাঁরা কীভাবে এ সমাজের অংশ হতে পারেন। এটা হিন্দু-মুসলমান নয়। কেন ওঁদের কাছে যাব?’’ যদিও এদিন সিএএ বিক্ষোভে জখম ওম রাজ সাইনির সঙ্গে দেখা করেন কপিল।
আরও পড়ুন: নেতৃত্ব দেওয়ার অর্থ হিংসায় এগিয়ে দেওয়া নয়: সেনা প্রধান রাওয়াত
উল্লেখ্য, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে উত্তরপ্রদেশ। বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি হয়, জখম হন অনেকে। এদিকে, সরকারি সম্পত্তি নষ্টের ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য বিক্ষোভকারীদের একাংশকে নোটিস দিয়েছে যোগী প্রশাসন। যা ঘিরেও বিতর্ক উঠেছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপিকে দুষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি, ‘‘বিজেপিকে বলছি, আগুন নিয়ে খেলবেন না। সরকারি সম্পত্তি নষ্টের আইন আছে। আমরাও তা জানি। কিন্তু এটা স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। এখানে এই আইন খাটাইনি আমরা। সারা ভারতবর্ষে অনেক বিরোধী দলের সরকার (অবিজেপি দলের সরকার) রয়েছে। একই রকম দমনমূলক পদক্ষেপ যদি করা হয়, তাহলে কি ভাল হবে? কারও জন্য ভাল হবে না। নিজেদের বিবেক-বুদ্ধি খাটান’’।
Read the full story in English